বুল্লাই নদীর তীরে,
নামটি কুঠির ঘাট;
নীল চাষীেদের খামার ছিল,
সেথা আসত বড় লাট।


সেথায় একটা কুঠরি ছিল,
ইট পাথরে গড়া,
সেটি এখন নিশ্চিহ্ন,
সেথা সবুজ ঘাষে ভরা।


সন্ধ্যা হলে ভূতের ভয়ে,
কেউ যেত না সেথা;
এখন এটি বশত ভিটে,
ভূত যে গেল কোথা?


রাত্রিতে শেয়ালগুলো,
ডাকত হুক্কা হুয়া।
সেথায় একটি নীলচারি আর
ছিল একটি কুয়া।


সবি এখন ধ্বংস প্রায়,
গড়ছে বশত বাড়ি,
মাটির সাথে মিলিয়ে গেছে,
নিল খামারের হাড়ি।


সেথা বসত মেলা
সারা বেলা
বসত দোকান
আসত লোকজন
কিনত জিনিস
মনের মত।


মাটির ঘোড়া,টেপা পুতুল
চিলঘুরি, বাঁশের বাশি,
মুড়ি,  মুড়কি, খেজুর রস
নিত কিনে গামছায় বেঁধে
আরও কত কত?


তালের পাখা,
বধুয়ার হাতের
শাখা পলা আয়না, চিরুনী,
গলার মালা,
মাথার কেশ,
লাল ফিতা,
মন্ড মিঠাই আর ঝুনঝুনি।


নাগরদোলা,ছায়াবাজি
পুতুল নাচ, আজ আর নেই!
সেই দিনগুলি কই।
নেই, নেই, নেই
আন্ত:জালের ভিরে,
উল্টে গেছে খেই।