(যদি কারও চরিত্রের সাথে মিলে যায় তাহলে ক্ষমা করবেন কবিতাটি বাস্তবতার সাথে লিখা হয়নি কল্পনায় লিখা হয়েছে)



চাকুরী শেষ হলে
মিয়া গেল অবসরে!
ভাল লাগে না আর,
পাগলীর সংসারে!
যৌতুকের বিনিময়ে,
পাগলীকে বিয়ে করে।
পাগলী এল ঘরে,
হল তিন সন্তানের মা,
সব সন্তানে হল পাগল,
সেথা পাগলের কারখানা।
মিয়া ভাবে বসে বসে
কি হবে তার অবশেষে?
কে করবে দেখশুন?
পাগলীর নেই গুন!
তরকারিতে নাদেয় নুন?
দাঁত তো সে মাজেই না
মিয়া আবার করবে বিয়ে,
ঘটককে দিল ৫০০টাকা
আর প্রস্তাবনা।
ঘটক ৫০০ টাকা পেয়ে
খুশিতে আটখানা।
মিয়া শর্ত দিল বেঁধে
গরীব ঘরের কনে,
শিক্ষিত, চালাক চতুর হলে,
নেইকো লেনা দেনা।
সোড়ষী হলে ভাল হয়,
কেশ লম্বা যেন কালো হয়,
হলুদ বরন গায়ের রং আর
দাঁত যেন  মুক্তোর মত হয়।
পাত্রী ঘটক খোঁজে মনে।
বরের কথা শুনে বলে ঘটক
আয়নায় দেখ নিজের ফটক।
চোয়াল খানা গেছে বসে,
বয়স হয়েছে ষাটের কাছে।
সোড়ষী কন্যা নেবে না কিনা।
মিয়া বলে,শোন ঘটক?
টাকা হলে ফটক লাগেনা।
চালাও বিয়ের আলোচনা
পাত্রী মিলবে কাঞ্চা সোনা।
দিব তারে সোনার গহণা।
একটি পাত্রীর খবর
তোমার আমার জানা,
সে হকের মেয়ে জরিনা।
হকের মেয়ে ৩য়া পাত্রী
জরি বিবি তার নাম।
স্বামী ছেরে স্বামী ধরে
এই হল তার কাম।
ডাগর ডাগর চোখ যে তার
মন ভুলাণ কেশ,
কাজল বরণ আঁখি দুটি
গায়ের বরণ বেশ।
১৭ বছরে তিনজন স্বামী
যায়নি শশুর দেশ।
দিল এবার ৪র্থ বারের
বিয়ের আদেশ।
বিয়ে হল ভালই ভালে
কণের বর পছন্দ নয়,
চার বছর বুড়োর খেয়ে
অন্যের কাছে কনে,
হঠাৎ পালিয়ে যায়।
বুড়ো এখন পাগল হয়ে,
কেদে কেদে কয়,
"আমি চাইলাম যারে ভবে,
পাইলাম না তারে,
সে এখন বাস করে
অন্যের ঘরে।"