কবিতায় মানুষের ভাবাবেগের প্রকাশ ঘটে ৷ কবি ভিতরগত দৃষ্টি নিয়ে সব কিছু দেখেন ৷ তাই কবিকে দার্শনিকও বলা যেতে পারে ৷ যেমন- একটি গ্লাসে পানি রাখা হলো ৷ সাধারণভাবে সেখানে পানিই দেখা যাবে, এটি ছাড়া আর কিছু দেখা যাবে না ৷ সাধারণ মানুষ দেখবেন পানি আর কবি দেখবেন এর ভিতরে আরো অনেক কিছু ৷ কবি মানুষকে, দেশকে, সভ্যতাকে পর্যবেক্ষণ করেন ৷ কবিতায় সেগুলোকে জাগানোর চেষ্টা করেন ৷ কবিতার ভিতরে অনেক গভীর বোধ কাজ করে ৷ একটি পূর্ণাঙ্গ কবিতা গঠন করতে হলে বিষয়বস্তুর সাথে শেষ পর্যন্ত তার মিল অত্যাবশ্যক ৷ কবিতা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে ৷ কবিতায় সমালোচনা না হলে কবিতা মূল্যহীন হয়ে যায় ৷ সেই সমালোচনা পজিটিভ হতে পারে আবার ভাল দিক দর্শনও হতে পারে ৷
কবি নিরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তার "কবিতা কী এবং কেন" গ্রন্থে তার সার বিশ্লেষণ করেছেন ৷
কবিতার শ্রেণি বিভাগ-
যারা ছন্দে লিখতে চায় তারা বাংলা ছন্দ দেখে নিতে পারে ৷
যেমন- মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ইত্যাদি ৷
এখানে বলে নি- কবিতা শেখানোর কিছু নেই ৷ কেউ কাউকে কবিতা শেখাতে পারে না ৷
যারা ছন্দ ছাড়া লিখতে চায় তাদের বলবো বানান ও যে বিষয়ে লেখা হচ্ছে তার দিকে নজর দিতে হবে ৷ কবিতায় প্রচুর আবেগ দরকার হয় ৷ তাই যখনি আবেগ আসবে তখনি লেখা উচিৎ ৷ তাহলে সুন্দর একটি কবিতা রচিত হয়ে যেতে পারে ৷
প্রচুর ধ্যান দেয়া এখানে মৌল বিষয় ৷ কবিতার শব্দ হতে পারে রূপক অর্থে ৷ রূপকের ব্যবহারে কবিতা সুন্দর হতে পারে ৷ ধন্যবাদ সকলে ভাল থাকবেন ৷