যখনি কবিতা মাথায় এসে খেললো
তখনি তুমি আমায় বললে লিখে ফেলো
এক যুবক তখন সামনে দিয়ে যাচ্ছিল
তাকে বললাম- এই কবিতা কী লেখা যায় ?
তখন সে বলল- রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় পড়তে পারো
কারণ কবিতার ছন্দোপতন ঘটে আবেগের উত্থান হয়েছে
এটা ওটা বাদ দেয়া জরুরী
তাতে ছন্দ ফিরে আসতে পারে
আমি বললাম- এতে আবেগতো মুছে যাবে
কবির হাহাকার কারো মনে বাজবে না
পথচারী কোনকিছু না বলে চলে গেলো
বিড়িবিড় করে বলল- নিয়ম মানাই জরুরী
আবেগকে রেখে কিছুদিন ভাবলাম
নিয়ম মানাই যখন জরুরী তখন লেখি যান্ত্রিক কবিতা
হায় হায় কেমন জানি মাথা ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে
জড় তত্ত্বে আর কবিতা জীবন পায় না
আমি বেহুশ
ও বলে তুমি এতো ভাবছো কেনো
তোমার আবেগ তোমার দ্রোহে আনো
কিছুদিন পর এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয়
তখনো মাথায় কেমন ভো ভো শব্দ শুনি
নিজেকে গাড়ি ভাবি
তারপর ভদ্রলোক বলল-কবিতা লেখেন
তারপর কয়েকটা কবিতা শুনে বললেন বাহ ভালোই তো কবিতা লেখেন
কিছুটা ইতস্ত হয়ে বললাম এগুলো আবেগের কবিতা
এখানে কী ছন্দ খুঁজে পান ?
আবার মাথায় ভো ভো শব্দ ৷
কী বলেন আপনি !
পুরোটা পড়েতো আমি বিস্ময় প্রকাশ করি
এ তো পাকা হাতের লেখা ৷
আমি বুদ্ধিহীন হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই
যখন জ্ঞান ফিরে তখন আবার আবেগকেই আঁকড়ে ধরি
কারণ- এটাই আমার শিল্প ৷