আড্ডা হবে ওয়েব সাইডে আগেই কবীর ভাই ০৭/০৬/২০১৪ ইং তারিখ এনে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, এটাকে আরো আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে আমাদের শ্রদ্ধেয়/প্রিয় কবি ও কবিতা ওয়েব সাইডের এডমিন সাহেব বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করেছিলেন ।
যা হোক, এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এবং সবার সাথে মিলিত হব এই আকাঙ্খা মনে স্থাপন করে আড্ডায় উপস্থিত হওয়ার বাসনা মনে স্থাপন করেছিলাম । গত আড্ডায় উপস্থিত থাকতে পারিনি এই আক্ষেপটা আমাকে দারুনভাবে দংশন করেছিল । এবার তাই স্বপথ করেছিলাম যতো সমস্যায় জড়িত হইনা কেন আড্ডায় যাবো...... যাবোই । এর ধারাবাহিকতায় অফিসে কিছু সময় ব্যয় করে বারোটার দিকে মিরপুর রওনা হলাম । গরম পড়েছিল অনেক তবুও ভালবাসার টানে ছুটে চলা।
এখানে বলেনি, আড্ডা হবে ৫:০০ টায় কিন্তু একটু আগে বেড় হয়েছি এ কারণে যে রাস্তায় জ্যামে যেন না পড়ি । আমার কাকার বাসা রূপনগর আবাসিক এলাকায় হওয়াতে একটু সুবিধা পেলাম । ভাবলাম কিছু সময় ওখানে ব্যয় করে যাই । কাকার বাসা থেকে পোঁনে পাঁচটায় বেড় হয়ে রিক্সায় উঠলাম । মিরপুর সাড়ে এগার রূপনগর থেক খুব কাছে । দূয়ারীপাড়া হয়ে পল্লবী সাড়ে এগারতে পৌছলাম । কিন্তু কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে আলোঘরের সন্ধান না পাওয়াতে মনটা একটু খারপই হলো । ভেবেছিলাম এখানে এতো লোক থাকে কিন্তু আলোঘর কেউ চিনবেনা এটা কি করে হয় । ভাগ্য ভাল যে, আলোঘরের আলোর সন্ধান জানতেন এক দোকানদার ছোট ভাই । সে হয়তোবা বইয়ের পোঁকা তাই হয়তো আলোঘরকে নিজ মনি কোঠরে রেখেছে । আলোঘরের মূল ফটকে ছেড়ে দিয়ে সেই উপকারী ভাই চলে গেল । আমি আলোঘরে প্রবেশ করে কবিদের আড্ডার স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই এক ভদ্র মহিলা বলল ভাইয়া আপনি পাশের ফ্লাটে চলে যান ওখানে আয়োজন করা হয়েছে । ওখান থেকে বেড় হবো এমন সময় আমার কাধে হাত রাখলো এক তরুন ছেলে । তার পড়নে শর্ট পাঞ্জাবী, পায়জামা কাধে ঝুলানো একটি ব্যাগ চোখে চশমা চুলগুলো খুব গোছানো । সে নিজে থেকেই বলে উঠল আমি বিষ পিপড়ে, আপনি নিশ্চয় বাবলু ভাই । আমার আন্তরিকতা দেখলে খুব ভাল লাগে । এ আন্তরিকতা থেকে বুঝতে পাড়লাম বাকী কবি বন্ধুরাও একি রকম হবে । যাইহোক আমি আর তাইবুর (বিষ পিপড়ে) সবার আগেই আড্ডাতে উপস্থিত হতে পেরেছি । এরপর আস্তে আস্তে অন্যান্য কবি বন্ধুরা আসতে লাগলো । সবার মুখে হাসির রেখাই বলেদিচ্ছিল যে, তারা এই আড্ডাতে আসতে পেরে খুব আনন্দিত বোধ করছে । আশিক ভাইয়ের কথা এখানে বলেনি, আমার পরিচয় দেয়ার আগেই তিনি আমাকে আলিঙ্গন করে বলে দিলেন আপনি বাবলু ভাই ঠিক বলিনি । তার কথা শুনে খুব ভাল লাগল । তিনি চাপা স্বভাবের কোন ব্যক্তি না এটা তার চঞ্চলভাবভঙ্গি তা প্রমান করে । শওকত আজাদ ভাই একজন রসিক মানুষ । তার কথাগুলো এক হাড়ি রসের সৃষ্টি করে । যতক্ষণ আড্ডায় ছিলাম তা দেখতে পেয়েছি । তিনি আমাকে আমার প্রোফাইল পিক পরিবর্তন করে ক্ষুদিরাম আকৃতির পাগরি মার্কা ছবি দেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন । আমাকে নাকি ঐ ছবিতেই ভাল লাগে । একবার না কয়েকবারই আমাকে তিনি এ কথাটি বলেছেন । তার কথা এখনো আমার কানে বাঁজছে । আরিফুর রহমান (ডিজিটাল কবি) ‌সে এই আড্ডায় যোগদান করবে বলে পটুয়াখালী থেকে দুদিন আগেই ঢাকায় এসেছিলেন । আমার পাশেই তিনি বসেছিলেন এবং তার একটি কবিতাতে আমার স্বাক্ষর রেখেছেন । যানিনা তিনি কেন এ অকবির স্বাক্ষর রেখেছেন । তবে ভাল লেগেছে তার সরলতা দেখে । ভাল থাক ভাই দোয়া করি । তাজুল ভাই, আজিজুল হক, আজিজুর রহমান (রাসেল), সুমন কায়সার, শুভ, সাদিকুর, আকলিমা আক্তার রিক্তা সবাইর উপস্থিতি আড্ডার প্রানকে আরো জাগ্রত করেছে । পলক ভাইয়ের গান এবং তার উপস্থাপনা অসাধারন লেগেছে । কবীর হুমায়ন ভাই অবশ্য বেশি কথা বলেননি একারণে যে, তিনি সারাক্ষণ ল্যাপটপে আমাদের আড্ডার খুটি-নাটি বিষয়বস্তু ইন্টারনেটে তুলে ধরছিলেন । আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি উদার মনের মানুষ । এখন চলে আসি আমাদের প্রধান অতিথি কার্টুনিস্ট আওসান হাবিব প্রসঙ্গে । আমি তাকে বইমেলায় অনেক দেখেছি তবে কথা বলার সৌভাগ্য হয়নি । আমাদের আড্ডায় উপস্থিত হওয়াতে তার সাথে বিস্তারিত কথা বলার সুযোগ পেয়েছি । তিনি একজন মননশীল ব্যক্তিত্ব ও আড্ডাবাজ আমাদের আড্ডায় এসে তা প্রমান করেছেন । আর খাওয়া-দাওয়ার যে আয়োজন ছিল তা যদি আসরের অন্যান্য বন্ধুদের প্রকাশ করি তাহলে তারা নিজের মাথার চুল ছিড়া শুরু করে দিবে । আমাদের আড্ডার সমস্ত ভিডিও করেছে www.physionews24.com   তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানাই । অবশেষে, আমাদের আড্ডাতে সবার সাথে সবার মত বিনিময়, সবাইকে কবিতা আবৃতি শুনানো, মননশীল লিখার ধরণসহ অন্যান্য বিষয়বস্তু এক মাইল ফলকের দ্বার উন্মোচন করেছে । আর এ কাজে যার পরোক্ষ নিবেদন তিনি হলেন আমাদের এডমিন সাহেব । আমার পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করি । আশারাখি প্রায় সময় এরকম আয়োজন আরো হবে । সবাইকে ধন্যবাদ ।