অনেকদিন কবিতা নির্বাসনে কাটালো
ভ্রান্ত কিছু সমীকরণের বেড়াজালে;
তবু সে নিজ সত্তাকে ভুলতে পারেনি।
ভুলতে পারেনি বিবেক, আদর্শ, কর্তব্য-
দায়িত্ব, চেতনাবোধের সীমানাকে।
তবে কবিতা দেখেছে উপলব্ধির চোখে-
তার গণ্ডি পেরিয়ে ভাল কিছু করার,
যা তাকে ঘুম থেকে জাগিয়েছে, এই-
যথা:
অপরের কল্যাণে অগ্রসর নেই কেউ
ভাবনাময় কল্পানাতে অনেক ঢেউ।
কেউ জাত শেখায়
কেউ ভাব শেখায়।
বিশ্বাসের নিয়মে অবিশ্বাস বাধে,
ঘর থেকে পরিচিত অপরিচিত মুখ-
শুরু হয় প্রেমিক অথবা প্রেমিকার বুকে
অথবা সাধারণ থেকে জাগ্রত হয়েছে-
এমন মানুষের যে স্বপ্নে বিলাসী,
অহংকারীর বুকে।
রাজনীতি অথবা আবল-তাবল দৌড়ে
যুক্তি, কথা দিয়ে সেরা হওয়ার দিনে-
কোমল হৃদয়কে বলেছি ভুলতো আমি
সেখানে নিরবতা কিছুক্ষণের জন্য।
তারপর যখন
মাথায় অভিমান।
ফোনালাপ অথবা সরাসরি আলোচনা-
মন বিশ্বাস কেউতো কারো কাছে নেই,
এখানে প্রতি দিন প্রতি সময় যেখানে-
তুমুল ঝড়ের ঝলকানিতে কেউ নেই।
অবশেষে, বাকরুদ্ধ পৃথিবী ছেড়েছি-
তাতে এসেছে কিছু শুদ্ধতা ভালবাসা।
তাই কবিতা দেখেছে উপলব্ধির চোখে-
তার গণ্ডি পেরিয়ে ভাল কিছু করার,
যা তাকে ঘুম থেকে জাগিয়েছে, এই-
যথা:
অপরের কল্যাণে অগ্রসর নেই কেউ
ভাবনাময় কল্পানাতে অনেক ঢেউ।