আজ হরতাল-অবরোধ যারা দিচ্ছে
যারা করছে, কিংবা এর বীজ
বপন করছে, তাতে হিংসা-বিদ্বেষের
মাথা উপরে উঠেছে। কিংবা যারা
এর বিপক্ষে ক্ষমতাবান, তাদেরও
কোন মাথা নেই কিংবা তাতে ব্যথা;
এতে বাড়ছে হত্যা সুনিপুণ অভিনয়
মঞ্চ ছাড়া। ককটেল হাঁসছে, হাঁসছে
পেট্রোল বোমা, কাঁদছে মানুষ, মানুষ
হতে মানুষ, হাসছে ক্ষমতা-লোভীরা।
কেন এত অভিনয় ? কেন এত
ক্ষমতার লোভ ? কেন আত্ম চিৎকার
শুনতে হবে দেশে, মরবে সাধারণ
জনগণ, তবে কি বাঙলা হয়ে
গেছে মনুষ্যত্বে কিংবা পরাধীনতার জাতি।
তাহলে, এখন থেকে লিখবোনা আর
বায়োডাটায় আমি বাংলাদেশি, কারণ চেতনায়
আমি হয়েছি মানুষ পিশাচ ভিনদেশি।


আমরা কোথায় নিরাপদ, রাস্তায়, গাড়িতে,
চায়ের আড্ডায়, অফিসে কিংবা শিক্ষা
অঙ্গনে। যখন-তখন পুড়তে পারে
শরীর, ক্ষত-বিক্ষত হতে পারে
অনেক স্বপ্ন, অনেক কিছুর চাওয়া।
যা হয়েছে-
চৌদ্দ গ্রামের সম্মুখে কোন এক গাড়িতে
যেখানে ঘুমন্ত ছিল কারো ছেলে-মেয়ে,
মা, বাবা কিংবা স্ত্রী। ঘুমিয়ে কেউ
স্বপ্ন দেখছিল ভিটেমাটি বিক্রয় করে
পারি জমিয়েছে দূর পরবাসে। কিংবা বাবা-
মার মুখে হাসি ফোটাতে অনেক সুখ
নিয়ে ফিরে এসেছে ঐ পরবাস হতে।
কারো আবার মন নতুন স্বপ্ন ঘিরে
যেতে চেয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকত পারে,
অনেক মধুর স্মৃতি যেখানে উঁকি মারে।
কেউ স্বপ্ন দেখছে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার
হয়ে বাঙলার মাটিকে ভরিয়ে দিবে স্বচ্ছন্দে,
যেখানে জাতি, দেশ অনেক গর্বিত হবে।


কিন্তু! যখন বাজে তিনটা,
সব স্বপ্ন চুরমার করে দিল একটি-
একটি মাত্র পেট্রোল বোমাটা।


দাউ দাউ করে আগুনের তিব্রতা যখন বেড়ে
পিছনে যেতে থাকে, স্বপ্নগুলোর মৃত্যু তখন হতে
থাকে। আমি যেতে চাই, আমি বাঁচতে চাই,
আমাকে মেরোনা, এই আত্ম চিৎকার শুনছিল সবাই,
শুনছিলনা ঐ হারামিরা। যারা আত্ম অহংকারে ভোগে,
যারা দলাদলি ভালবাসে, যারা নিজেদের স্বপ্ন দেখে,
রাজপথে নেমে দেখে না জনগণের কষ্ট ব্যথা।
খুঁজেনা অপরাধী কিংবা দেশদ্রোহী কে ?
আমি ! তুমি ! সে ! না আমরা ।


তাই ভাবছি এখন থেকে লিখবোনা
আর বায়োডাটায় আমি বাংলাদেশি ; কারণ
চেতনায় আমি মানুষ পিশাচ ভিনদেশি।