কবিতা কি লিখবো, কলম কাঁপছে
লিখা গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসছে ৷


ভাবছি-এ কেমন দেশ, এ কি রকম সভ্যতা
এ কেমন নিয়ম-কানুন এ কেমন মানবতা ৷
যে দেশ গড়ে উঠে মানুষের কথার মাধ্যমে ৷
যে নগর মানুষ নিজের কল্যাণে নিয়োজিত-
করার কথা ছিল ৷


যে মানুষ প্রণয় শিখবে এ শুদ্ধ প্রকৃতিতে ;
তা-তে আজ শকুন মরা মাংস খায়
কি অদ্ভূদ সভ্যতা এ চলাফেরা ৷


সকল প্রাণী বন ছেড়ে ঢুকে পড়েছে-
মানুষের অভয় অরণ্যে, চায় কি !
তাহলে চোখ মেলে দেখা যাক-
চায় তারা বাঁচাতে নারীর চোখের জল
যাকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে,
ডান পায়ে শিকল বাধা অবস্থায়
তার নিজ ঘরের প্রাঙ্গণে ৷


কুরিগ্রাম নিবাসী মজিরন বিবিকে এভাবে দেখা যায় প্রতিদিন
বীরাঙ্গনা নাম গেঁদে ছিল অসভ্য এ নগরে,
কি আছিল না তার, স্বামী তমিজ ছিল, বুকে স্বপ্ন ছিল, ঘর ছিল ৷
তার ঘরে আছিল সুখের অজস্র কিতাব ৷
যেখানে লিখা ছিল আমরা সব মানুষ হবো ৷
কিতাব অবিকল, পড়ে আছে বাড়ির বুকে ৷
মনুষ্য সাদা হাত কালো হয়ে যখন তার দেহ
স্পর্ষ করলো, মুছে গেলো লিখা টি
আমরা সকলে মা-নুষ হবো ৷


বীরাঙ্গনা দেখ, আজ শুনতে হয় আমরা জানোয়ার হয়েছি
তোমাকে আজ বেধে রেখেছি শিকলে,
তোমার সব কিছু, স্বামী, সন্তানকে তোমার থেকে কেড়ে নিয়েছি ৷
বীরাঙ্গনার তিন সন্তান এখন অভাবগ্রস্থ
তার কু-সন্তান জুয়া খেলে পয়সা করে বিনষ্ট ৷
মানবতা বিহীন এ নগর মাত্র অল্প কিছু টাকা দেয় সম্মানের মূল্য ৷
সে বোঝেনা কোথায় তার ঘর, কোথায় ঠিকানা
সে এভাবে উন্মাদ থাকতে চায় হয়তো
অসভ্য নগরে মানুষ কিংবা পোকা হতে ৷
কিন্তু বন থেকে সভ্য প্রাণীগুলো তাকে বাঁচাতে চায়
তাই তারা সকলে উঠে এসেছে দলেদলে নগর এতে ৷