কেন দিলি ডাক? আমায় আবার অসময়ে ইন্দ্রপুরে।
নিশিতে বরষা, ঝরো ঝরো জল ঝরতেছে ভাঙ্গা ঘরে।
ভীষন মধুর, বৃষ্টির সুর অচেনা অসীম আঁধারে,
ভাবিতেছি মনে ফিরাইবো কি তোরে ভাসিব কি শ্রাবণধারে।


কেন দিলি ডাক? তোর মায়াবীর রাঙা মুখ তুলে।
হারিয়েছি আমি, বৈশাখীর ঝড়ে অতি রহস্য পাতলে।
মজে গেছি আমি, বাদল বৌয়ের চুমুর সোহাগে।
ভুলে গেছি তোরে, মেঘের ঠোঁটের মিষ্টি মধুর লোভে,
কেমনে নয়ন, রাখিব এখন তোর প্রেমাতুর নয়নে।


বাজাস না কাকন, ওরে মায়াবিনী জাগাস না স্বপন।
বিরহে হৃদয়, পুড়ে পুড়ে ছাই বুকে চাপা কাদন।
আকাশের কোণে, ফুটফুটে মুখে কাদিস কেন এখন?
হায় ভীরু প্রেম! তুই ভেঙেছিস স্বপন ভূতুরে পাতার মতন।
চির-দিনের বধু বানাইবো তোরে, সাজাবো কুসুম শোভন।
জ্বেলেছি আলো, গেথেছি মালা, দিস নাই দর্শন।