”আমি”
শুনেছি, এ ধরনী কারো চিরদিন বক্ষে রাখে না ,
তাই বুঝি আর রাখবে না মোর ।
হাতে গোনা কয়েক দিনের দুনিয়া,
এত অল্প সময়ে কি সব যায় চেনা?
সব রয়েছে অজানা, অচেনাই, কিছুই দেখা হয় নাই ।
হে ”ধরনী”তুমি কে? তোমাকেও চেনা হয় নাই,
তবে কেন? মোরে দিতে চাও বিদায় ।


হে ”ধরনী” তোমাকে সুধাই ;
এই আমি, আমার কর্ম, কিছুই কি ভালো লাগে নাই ?
ভালো নাইবা লাগিল তোমার,
এই দেখো বন্ধ করিলাম দোয়ার ।
কঠিন বাঁধনে নিজেকে বাঁধিয়া,
চিরকাল রবো তোমারে আঁকড়িয়া ।
লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখিবো মোরে,
দেখিবো কে ছাড়াইতে পারে ।


”পৃথিবী”
তুই আমার দু’দিনের সফর যাত্রী অভাগী ।
এই দু’দিনের সফরে তোকে আমার বক্ষে রাখিয়াছি,
প্রাণের বাঁধন প্রাণেতে বাঁধিয়াছি ।
তাই বলে তোরে, আমার বক্ষে চিরদিন রাখিতে নাহি পারি ।
সৃষ্টিকর্তার নিয়মে যত দিন থাকবি,
আমার বক্ষে বসবি, বেড়াবি,
গৃষ্ম,বর্ষা, শীতে,দিবসে-নিশীতে আমারে নিয়ে লিখবি ।
বুক ফাটাইয়া বলবি, ভালোবাসিস তুই মোরে,
তবুও; পারবি না থাকতে আমার বক্ষ পরে ।
আমি আছি চিরপুরাতন নিয়ম জড়ায়ে ধরে ।
এসেছিস যখন যেতেই হবে তোরে ।


”আমি”
যাবো না, থাকবো চিরদিন ধরি,
শুধু চলে যাবো ভূপৃষ্ঠ থেকে ।
থাকবো না আর মানব বেশে ।
চিরদিন থাকবো আমি তোমারি শরীরে,
থাকবো আমি মাটি হয়ে ধুলাই মিশে ।
আমার এই মায়াবী কালো মুখ,কষ্ট ভরা বুক,
বিরহের কান্না হয়ে কাঁদাবে তোমারে ।
যখন নতুন প্রজন্ম এসে খুঁজবে মোরে,ঠিক তখনই বুঝবে ।
রয়েছি আমি, রয়ে যাবো চিরদিন ধরে।