চেয়ে চেয়ে দেখি,
আম গাছে শালিখে, শালিখে ঝুটোপুটি।
বউকথাকও, বউকথাকও, ডাকিয়া মরিছে পাখি,
হলুদ পালকে তার সমস্ত শরির আছে ঢাকি।


বউ তো নাই কোন খানে,
পড়ে আছে শুধু ঢেঁকি,
উঠানের এক কোনে।
কে আর কুটিবে বলো ধান,
টানিয়া ঘোমটা আপন মনে।


সেই কবে থেকে পাতা আছে চেয়ার রোদে,
আসে না কেউ স্নান করে,
বসে নাতো কেউ চুল শুকাবে বলে।


কাঁঠাল ছায়ায় সেই কবে থেকে,
শীতল পাটি আছে পাতা,
বসে নাতো কেউ দুটি পা বিছায়ে,
সেলাই করিতে কাঁথা ।


আসে না, কোন এক নবান্নে,
নকশাপেড়ে শাড়ি খানা পরে,
কোন এক রাঙা রাজকন্যা ,
ভাজিতে খই জলন্ত দুপুরে।


আসে না কেউ আবদার করে,
কোন এক উত্তপ্ত দুপুরে,
আহ্বলাদে গলাটি ধরে,
শীতল আইসক্রীমে ঠোঁট রাখার তরে।


আসে না কেউ বসে না পাশে,
মুখটি গোমরা করে।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে ঘরে,
সন্ধ্যায় হাঁসটিরে ধরে দেয়নি বলে,


ধুত্তোরি-ছাই হইলো কি যে, দেখিতে দেখিতে,
আবার আমার ভিড়লো তরী কল্পনার তীরে।
সুন্দর সন্ধ্যাটি আমার হারিয়ে গেলো,
রাতের গভীরে ।