অনন্ত কালের তরে যদি পাই তোরে,
চোখ বুজে হেঁটে যাবো আমি এই পৃথিবীর পরে,
দেখিবো না আর পিছু ফিরে ।
দেখিবো না অচেনা নারী মুখ চলতি পথে,
দেখিবো না কেমনে খঁসে যায় খোপার ফাঁস,
গোধুলির আলতো বাতাসে
চাইবো না জানতে পড়ন্ত বিকালে,
সুর্য কেন সিক্ত রাঙা রক্তে ।
কেন রাতেরা চাঁদের দ্বারে হাত পাতে,
আলোছায়ার খেলা খেলতে,
নাকি চাঁদের আলো গায়ে মাখতে ?
কভু চাইবো না জানতে কেন বাঁশ বনে,
জোঁনাকিরা টিপ-টিপ জ্বলে রাতে ।
চাইবো না জানতে কেন বৃক্ষহীন মরুভূমি শুধু বালুতে,
কেন মাটি ফেটে চৌচির গৃষ্মের সুর্যের আলোতে ।
চাইবো না জানতে কেন থরো থরো কাঁপে প্রাণ,
রৌদ্রও লাগে ভালো মাঘের শীতে।
চাইবো না জানতে  কিসের দ্বন্দ্ব,
মিশেনা কেন তেল আর জলেতে,
চাইবো না জানতে কেমনে বাঁচে মাছ পানিতে।
কেন ফাল্গুনে ভ্রমরের গুনগুন,ফুল ফোটে বসন্তে।
চাইবো না জানতে কেন শিহরণ জাগায় মনে অবলার ছোঁয়া,
কেন পান করে  সিগারেটের ধোঁয়া ।
চাইবো না জানতে কেন ভাঙিলে প্রেম ভেঙে যায় আঁশ,
এলোমেলো বেশে কেন প্রেমিক হয় দেবদাশ।
আমি কিছুই চাইবো না জানতে,
থেকে নিরব ছেড়ে দিয়ে সব,
ভুলে যাবো ফেলে আসা স্মৃতির কলরব ।
করিবো প্রবেশ আবার নতুন ভোরে,
অনন্ত কালের তরে যদি পাই তোরে ।