"ভোটটা তাহলে আমাকেই দিচ্ছেন"—
বলে দিদি-দাদার প্রচার শুরু করলেন৷
    প্রচার তো নয় যেন সার্কাস দেখানো হচ্ছে৷
        আগে-পিছে খান পনেরো গাড়ি৷
    গাড়ির সামনে পঙ্গপালের দল
আর দিদি-দাদাদের লাফিং বুদ্ধ মূর্তি৷
         এমনিতেই দাদা-দিদিদের
জয়গান তো গাওয়া হচ্ছিলই৷
       তারপর শুরু হল দাদাদের প্রতিশ্রুতি৷
আজ দাদা দলে আমায় দেখ তো
                কাল দিদি বলে আমায় দেখ৷
    তাছাড়াও আরো কত কী.....৷
এই ভাবেই চলতে চলতে
      এল বিশেষ দিনটি....ভোটের দিন৷
আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই আসে ফলাফল৷
দাদা বা দিদি ঠিক বিপুল ভোটেই জয়লাভ করে৷
         শুরু হয় তাদের রাজত্ব৷
একে একে নতুন নতুন ঘটনা ঘটতে থাকে৷
হয়ত কোনো এক কিশোরী শিকার হয়৷
তার ওপর শারিরীক, যৌন নিগ্রহ চালানো হয়৷
তখন ruling party বলে—
"কোনো চিন্তা করবেন না,খুব তাড়াতাড়ি
অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হবে"
আর যদি দাদা বা দিদির কোনো ভাইয়ের নাম ওঠে
তখন বলে—"এই সব বিরোধীদের সাজানো ঘটনা"৷
আরও হয়ত আবিস্কার হয়
কোন 'মা লক্ষী গোষ্ঠী' আমজনতার অর্থ নিয়ে উধাও৷
এই ভাবেইকেটে যায় পাঁচটা বছর৷
       যথারীতি আবার ভোট আসে
তখন অাবার সাধারণ মানুষকে বলে—
"এবার আপনাদের এই  কাজটা নিশ্চয়ই করব,
     শুধু ভোটটা আমাকেই দেবেন"
আর সাধারন মানুষকে বলবে—
"আপনারা আপনাদের টাকা ফেরত পাবেনই,CBI তদন্ত চলছে"
আর 'সেই মেয়েটির ' বাবাকে হয়ত বলবে—
       "অাপনি ন্যায় বিচার পাবেনই"৷
তবে আমরা কী আদেও ন্যায়বিচার পাব?