আমি সেই সিঁড়ি
সারাদিন ধরে কতই না অত্যাচার,
          হুড়মুড় করে নেমে চলেছে
আমার আমার জীর্ণ ক্ষত বক্ষের উপর দিয়ে৷
আর কতই না ইতিহাসের সাক্ষী আমি৷
এখন কেউই আমার দিকে তাকিয়ে একটি বারের জন্যও হাসছে না৷
        সত্যি মানুষ বিরাট স্বার্থপর
আমি তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী,
সেই প্রথম দিন থেকেই সাহাজ্য করে আসছি তাদের৷
       কিন্তু বিনিময়ে পাচ্ছি শুধু পদাঘাত৷
   আমার বুকের ক্ষত চিহ্ন যাতে কেউ দেখতে না পাই তাই ওরা কার্পেট মুড়ে রাখত৷
        আর এখন কার্পেটও দেয় না আমার ওপর,
কারন তারা আর ভয় পায় না সমাজকে৷
          ভয় পাবেই বা কেন?
ভয় পাবার তো কোন কারন নেই,
    সমাজও তো কলুষিত৷
আগে ঈশ্বরের কৃপায় মাঝে মাঝে
এক আধ জন পদস্থলিত হত,
      এখন তাও হয় না, ঈশ্বরও আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে  নিয়েছেন।
এমনটা আমাদের চিরদিনই সহ্য করতে হবে, কারন?
প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে আমি বোবা৷
আর নীচ জাতির কী প্রতিবাদ করা কি সাজে?
দীর্ঘদিন ধরে আমি সংস্কারহীন,
হয়তো আমিও একদিন মিলিয়ে যাব পৃথিবী থেকে প্রকৃতিরই নিয়মে।।



———————————০———————————
সুকান্ত ভট্টাচার্যের "সিঁড়ি" কবিতা পড়ার পর ভালোলাগা থেকে এটি রচনা ৷