এই গাঁয়ের এক শ্যামলা মেয়ে
আঁখি দুটি বেজায় কালো।
শুভ্র দশন দেখতে ভারি
কালো চোখে জ্বালে আলো।
ভালোর চেয়েও আরোও ভাল
তাহার মুখের হাসি।
নাকের গড়ন দেখতে যেন
পাঁকা বাঁশের বাঁশি।
শ্যামলা মেয়ের কালো চোখে সবুজ কত স্বপ্ন
ওরে লয়ে গাঁয়ের মাঝে আছে কেউবা মগ্ন।
কেউবা ভাবে বধু করে আনবে তারে ঘরে
কেউবা আবার চলার পথে উঁকি ঝুকি মারে।
কেউবা দেখি সামনে এসে হেসে কথা কয়
কেউ আবার আড়াল থেকে ভালবেসে যায়।
কতজনে  চিঠি লিখে দাঁড়িয়ে থাকে পথের বাঁকে।
হয়ত ওরা সুযোগ পেলে গুঁজেই দেবে কথার ফাঁকে।
গাঁয়ের মেয়ে লাজুক অতি এমনিতর হাসে
কতই জনে মনে করে তারেই ভালবাসে।
আসলে কিন্তু গাঁয়ের মেয়ের অমন স্বভাব নয়
প্রেম পিরীতি ওসব নাকি লাগে ভীষণ ভয়।
এইতো সেদিন একটি ছেলে গোলাপ নিয়ে হাতে
নয়কো গোলাপ সাথে ছিল অশ্রু নয়নোপ্রাতে।
বলল তারে শ্যামলতা তোমায় ভালবাসি
এসব শুনে গাঁয়ের মেয়ের ভীষণ রকম হাসি।
হাসতে হাসতে গাঁয়ের মেয়ে গাঁয়ে ফিরে যায়
নয়নের জল, হাতের গোলাপ,বিরহ  বাড়ায়।
গাঁয়ের মেয়ের,শ্যামলা মেয়ের মনটা ভীষণ ভালো
চরম দুখে ধরার বুকে মন করেনা কালো।



রচনাকাল :২৮ অক্টোবর ২০১৬ ইং
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।