এই বাংলার আকাশ-বাতাস
এই বাংলার নদী
গাঁয়ের বধূর রূপের কথা
কইছে নিরবধি ।
যেমন সুন্দর চোখ দুটি তার
বাঁকা জোড়া ভুরু
ইশারায় সে কইছে যেন
এইতো প্রেমের শুরু ।
ঢেঁড়সের মতো আঙ্গুল তার
বাঁশির মতই নাক
গাঁয়ের বধূর রুপ দেখে
ঢাঁকি বাজায় ঢাঁক ।
নাকের সোনার ফুল যেন
শীতের শিশির বিন্দু
গাঁয়ের বধূর রূপের নেশায়
পতি খোঁজে প্রেমের সিন্ধু।
কচি লাউয়ের শাক বাচিছে
আঙ্গিনায় একা বসি
ঘোমটার ফাঁকে গাঁয়ের বধূর
রূপ যেন গো পড়ছে খসি।
চিকন চোকন গাঁয়ের বধূ
লাজুক লাজুক দৃষ্টি তাহার
উঠোন জুড়ে সোনা ধান
দেখে বধূর রূপের বাহার।
আলতা রাঙ্গা পা দুখানি
মেঘ কালো চুল
দুধে আলতা গায়ের বরণ
যেন সে বাহারী ফুল।
গাঁয়ের বধূ বুদ্ধিমতী
কথা কয় হেসে হেসে,
যে দেখে সে দুরে থেকে
যায় যে তারে তালবেসে।
শত ব্যস্ত গাঁয়ের বধূর
বুকের বসন যায় যে পড়ে
পতি তাহার কয় সে কথা
লাজে তখন যায় সে মরে।
পতির কথায় গাঁয়ের বধূ
জড়ায় বুকে বসন
হাসির ফাঁকে উঁকি মারে
বধূর সুন্দর দশন।
গাঁয়ের বধূর রূপের মোহে
পভি ভাহার যায়না কাজে
বধূরে লয়ে স্বপ্ন দেখে
সকাল,দুপুর, সাঁঝে।
গাঁয়ের বধূর রূপের কথা
বলব কি আর আমি
এমন বধূর কঁপালে কিনা
জুটছে বেকার স্বামী।
পভি ভাহার বেজায় খুশি
এমন বধূ পেয়ে
নিজের খাবার খাওয়ায় ভারে
স্বামী নিজে না খেয়ে।
গাঁয়ের বধূ সভী নারী
শশুর শাশুড়ীর লয় সে খোঁজ
তক্ভি করে মুক্ভি পেভে
দুরে থাকলেও ফোন করে রোজ।
গাঁয়ের বঘূর ব্যবহারে
পাড়া পড়শি সবাই খুশি
সবাই বলে তাগ্যগুণে
ঘরে আনছে পূণি`মা শশী।
গাঁয়ের বধূর বিদ্যা বুদ্ধির
নাই একরত্তি অতাব
অতিজাভ ঘরের মেয়ে হলেও
খাটায় না ভার প্রতাব।
গাঁয়ের বধূর গুণের কথা
আমি কী আর বলি
সংসার বাগানে সে যেন
সুখের কুসুম কলি।