সচল দেহটারে অচল করে,
উড়ে যাবে মোর পাখি।
বন্ধ হবে ভবের খেলা,
বন্ধ হবে মোর আঁখি।
আপন স্বজন কাঁদবে কতই
ধরে হাজারো স্মৃতি,
দু'দিনের এ খেলা ঘরে
ছিন্ন হবে বন্ধন-প্রীতি।
আমার যত খেলার সাথী
পাবেনা আর খেলার মাঠে,
আদুল গায়ে স্নান করতে
দেখবেনা কেউ পুকুর ঘাটে।
নামাজ শেষে মোনাজাতে
কাঁদবে মোর মা জননী,
কোথায় গেলি খোকা আমার?
শূণ্য করে কুটির খানি।
ভাই-বোনকে খেতে দিয়ে,
ফেলবে মা চোখের জল।
বাবা তাহার কোন কাজেই
পাবেনা দেহের বল।
প্রদ্বীপ জ্বেলে পড়ার ঘরে
পড়বেনা কেউ রাত জেগে।
জীবন যে তার ছেয়ে গেছে
অমানিশার কালো মেঘে।
যতন করে তুলে রাখবে
আমার খাওয়ার থালা, বাটি
ধরবেনা কেউ ডাংগুলি খেলার,
মোর হাতের বানানো লাঠি।
খুঁজবেনা আর ঝোঁপ-ঝাড়ে
নানান পাখির বাসা।
দেখবেনা কেউ কবর দেশের,
আমার কান্না-হাসা।
প্রতিবেশি মাসি,পিসী
তারাও ফেলবে আঁখি জল।
বলবে তারা বিনয় করে নিয়তি যেন,
খোকার সাথে করেছে বেজায় ছল।
সকল মায়া ছিন্ন করে
রইবো পড়ে কবর দেশে।
ভবের হাটের লেনা-দেনা,
একাই করে যাব শেষে।
আমার সমাধির দূবাঘাসে
উঠব আমি হেসে।
আমার কাছে এসো সবে,
একটু ভালোবেসে।