যৌবন মসনদে তুমি রাজাধিরাজ
কতকাল এমনিতর করিবে বিরাজ?
হে রাজাধিরাজ আসিবে নিবিড় তিমির
হেথা হইবেনা আর যৌবন সুর্যোদয়।
বুড়োহার থেকে তোমার অজান্তেই
শুকিয়ে যাবে যৌবন রস,যৌবন লইবে চির বিদায়।
কেবলি হাতে লইয়া লাঠি ঠুক ঠুক করে
যৌবন মহারাজ চলিবে এঁকে বেঁকে।
হা হুতাশ করিবে কেবলি পূর্ব জীবন লয়ে।
যৌবন মসনদে বসি করিছো হায়
নিশিদিন কতই বাহাদুরি।
তব লালসার শিকার
কত নিরীহ নারী।
কখনও শমসের হাতে গিয়াছো সমরে
করিয়াছো কত বন্দী নিরীহ মানুষেরে।
কত অজানা বন্দীর প্রাণ নিয়াছো কেড়ে
অন্ধকার ঐ বন্দী শিবিরে।
তুমি এখন বন্দী রাজা বয়সের ভাড়ে
যৌবন নাহি আর আপনার চারিধারে
বিবেক তোমায় পড়ায়েছে শিকল
কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এখন ভুল  করা যৌবন তোমারে।
এক সময়ের শক্তিমান রাজাধিরাজ
গর্জে উঠেছিলে পলে পলে।
করিয়াছে দন্ডিতেরে মহা প্রহসন
জানা অজানা সামান্য ভুলে।
শোন হে মহারাজ
চিরকাল নাহি যায় কারো সমান।
যৌবন হারায়ে পৌঢ়ত্বে কাঁপিছো
এ ধরার জমিনে এটাই তার প্রমাণ।


রচনাকাল : ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
বিকাল: ৬.০০ ঘটিকা।