আমার অশ্রুমালা তোমার বকুল মালারে হার মানালো আজ
কাঁদালে কামিনী আমারে নিশিভোরে
তবুও তোমারে করিলাম মাথার তাজ।
ব্যথাহত বুকখানি মোর  দিয়েছ তুমি হেথা হানি  বিষের বাণ
অসহায় মন মোর বিরহ গীতি গায়
নিতি  প্রাণ ভরে লয়ে তব ব্যথার দান।
কামিনী তুমি দিবস যামিনী
কর কেবল কেন মিছে অভিমান?
কালোমেঘে বায়ুবেগে ছেয়ে যায়
তোমার আমার রঙ্গীলা আসমান।
তব পরশে সহসা হরষে মন নেচে উঠে
কটুকথা আসেনা কভু মোর দুটি ঠোঁটে।
কোন কথায় কত ব্যথা বোঝনাকো সে কথা
নাহি জানো তুমি যেন কোন বাণীতে পুলক টুটে।
যতই কাঁদি ততই বাঁধি মম বাহুডোরে
তোমারে পুষি কামিনী সদা আমার অন্তরে
নিবিড় নিশা কে করিবে অবসান
কে গাঁথিবে হায় বকুল মালা?
কামিনী তোমারে দিবস যামিনী ভালবেসে
নীরবে নিভৃতে দিয়ে যাব অশ্রুমালা।


রচনাকাল : ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
রাত: ৮ :০০ ঘটিকা।