জাগো হে চির বঞ্চিত
সঞ্চিত শক্তি লয়ে।
আপনারে জাগাতে হবে
আপনার তরে এ বিশ্বালয়ে।
জাগো কোমল প্রাণে
অফুরন্ত আশা লয়ে।
কী হেতু কাঁদ তুমি
লুকাও কেন হে ভয়ে?
জ্বালাও চেতনার অনল
দাও হুংকার, আহাজারি রেখে।
লিখে যাও নাম রক্ত আখরে
ফেলনা আঁখিজল তব প্রবল দুখে।
জাগো আজ অতৃপ্ত আত্মা
কর গ্রাস যাহা পাবি সম্মুখে।
জীর্ণতা ঘোচাও আপনার শক্তি দিয়ে
বিপদেআপদে দাঁড়াও এবার রুখে।
জাগো মহাকালের শোষিত সমাজবাসি
অধিকার লও ছিনিয়ে।
এসো এসো হে কর প্রতিবাদ
পড়না আঘাতে আর নুঁইয়ে।
ব্যাথা বেদনার জীবন কর নাশ
জাগো বঞ্চিত ঘরহারা পথবাসি।
এসো সাম্যের নিশান উড়িয়ে
কমকিসে তোমরা  সম এ গ্রহবাসি।
জাগো হে ঘুমন্ত অনন্ত শোষিত প্রাণ
লড়াই করে ছিনিয়ে নাও অঘ্রাণ।
জাগো আবার ঘোচাতে আঁধার
তোল রে ধরায় তোল তুমুল তুফান।
জাগো রক্ত ঘামের অধিকার আদায়ে
এসো এসো হে সাম্যের পতাকাবাহী।
আয়রে সবে জাগো আবার
বসুধা বক্ষে সাম্যের গান গাহি।
জাগো মাটির গড়া
খাঁটি আদম সন্তান।
ডাকে মহাকালের অতৃপ্ত আদিম প্রাণ
শোন শোন উদাত্ত এ আহবান।



রচনাকাল :১০ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
বিকাল:২:৫৫ ঘটিকা।