পাতালে মাতাল মহারাজ
সিংহাসনে আসন পাতিয়া করে দন্ডের কাজ।
হায় কত নিরীহ বন্দী পাতালের কারাগারে
বন্দী শিবিরে নিশিদিন তারা ধরফড়িয়ে মরে।
শোন হে মহারাজা তুমিও পাবে সাজা
ভাঙবে তব আগল বন্দী নিরীহ প্রজা।
বড়ই বিস্ময় জাগে প্রাণে প্রাণে
নিখিল ভুবনের বন্দী যত ঝাঁপিয়ে পড়বে রণে।
পথে প্রান্তরে রণে ও বনে
জাগিবে সবে প্রবল জাগরণে।
মহাকালের বন্দী শিবির ভেঙে ফেলিবে বন্দী
চিরতরে অবনীপরে করিবেনা আর সন্ধি।
আর আমরণ অনশন করিবেনা প্রজা
উড়াবে আজি ওরা প্রতিবাদের ধ্বজা।
মহাকাল ধরে কাঁদিয়া চলিছে বন্দী পাতালের কারাগারে
ঘনঘটা ঘোর করিছে পাড় বন্দী শিবির পরে।
আজি এসেছে জোয়ার সকল বন্দী  প্রাণে
লোহার জিঞ্জির তাই বুঝি গো ছিড়িয়া ফেলিছে একটানে।
বাঁধার দেয়াল পেরিয়ে হায়
বন্দী মুক্তি পেতে চায়।
জেগেছে নিরীহ বন্দী প্রাণ ছিনিয়ে নিতে চায় মহারাজার রাজমুকুট।
রাজা সেতো রাজা নয় বিষমাখা কালকূট।



রচনাকাল :১৪ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
সকাল:৯:০০ ঘটিকা।