আমার আলোর আকাশ
ছেয়ে গেছে কালো মেঘে।
একটুকরো মেঘের মতো
উড়ে বেড়াই হাওয়ার বেগে।
আমার অশান্ত জীবন এখন
আশাহত পথিকের মতো।
বয়ে বেড়াই রাত্রি নিশিতে
লয়ে বুকে ব্যথা বেদনার ক্ষত।
আমি আজ পাতা ঝরা বৃক্ষ
শুষ্ক কাষ্ঠের মতো অনলে পুড়ি।
আপনার কাছে কত প্রশ্ন আজ
জবাব নাই কেবল ধরফড়াইয়া মরি।
পাওয়া না পাওয়ার অপরিমেয় জ্বালা
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় নিশিদিন।
আপনার আপনজনও করে ঘীন
আমি আজ অসহায় বেদুঈন।
আমি গৃহহারা  পথবাসি
নাহি আপনার কোন আলয়।
চারিধারে হেরিলে গো
পাই রে প্রবল প্রলয় বলয়।
ও প্রলয়োল্লাস যে করে
আমার দুঃখের দিনে।
মিত্র সে ভালবাসি তারে
নিশিদিন ভুবনে।
আমার চিত্ত বল নিত্য
কেবল ক্ষয়ে যায়।
দুঃখকে বড় ভালবাসি
এতে নাহি জীবনের পরাজয়।
কালফণী শিরে মণির আশে
হয়ে গো গৃহহারা।
কালকূট বিষে দেহখানি শেষে
হল রে আজি দিশেহারা।
অঙ্গে দুঃখের আগুন লাগি
হলাম গো অঙ্গার।
সে  আগুন মোর নাহি নেভে
পানি দিয়া পদ্মা,মেঘনা,গঙ্গার।
কালো নয়নে আলো নাহি
হেথা ঘোর ঘোর অন্ধকার।
বসুধার যত ব্যথা, বেদনা
হইল রে আমার।




রচনাকাল :১৫ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। বিকাল: (নোয়াখালী ব্র্যাক অফিস) ৬:০০ ঘটিকা।