সুদুরে ঐ নীলাম্বরী তারায় তারায় গিয়াছে ভরি
জ্যোৎস্না বিছানো সবুজের বুকে করিছে জোনাক আলোর খেলা।
ওগো সুদূরিকা তোমাকে ভাবছি নিরালে একা বসি
আজি পূর্ণ শশীর অবাক জ্যোতি তোমারে ডাকে বারে বারে।
এই যে নিবিড়তর নিশিতে ঘুমহীন আকুল আঁখি শুধু তোমাকেই খুঁজে মরে।
গোপনে ফোঁটা কুসুম গুলি অভিমানে ঝরিবার আগেই ঝরে।আমার আকুল আঁখির আরতি তুমি দেখলেনা। শুধু মিছে অভিমানে দুরে চলে গেলে,একবারও ভাবলেনা তোমার স্মৃতি
ছাড়া আর কোন সম্বল নেই আমার।আজ আমার চারিধারে ঘোর অন্ধকার আমার আমিকে আর চিনিতে পারিনা।ঘুমহীন দুটো লাল চোখ যন্ত্রনা দেয় আমাকে। তোমাকে না দেখে দেখে পাথর হয়ে গেছে, আর তাই পাথর চোখে ঘুম আসেনা, স্বপ্নও সে দেখেনা,
তুমি চলে যাবার পর থেকে আজ অবধি। আমার আহাজারি শুনে ঝরে সবুজপত্র, মিত্র আজি পর হয়েছে, হয়েছে হায় চরম শত্রু।আমি আর কাঁদতে চাইনা, তোমার পুরনো স্মৃতি নিয়ে সুদূর গগনের অনন্ত অসীম সীমানায় পাড়ি দিতে চাই। সূদুরিকা তুমি ভাল থেকো।



রচনাকাল : ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙাব্দ
দিরাই, ব্র্যাক অফিস, সুনামগঞ্জ।
সকাল: ৮.০০ ঘটিকা।