ক্ষুধায় কাতর শোকে পাথর ছোট্ট এক শিশু
দেখে সবাই  নয়ন মেলে দেয় না তারে কিছু।
নিখিল ভুবন শোনেনা তার কোন আহাজারি
ছোটে সে সবার পিছু দেয়না কিছু মারে কেবল ছাড়ি।
ও শিশু বুকে লয়ে শত ক্ষত
বেড়ায় ঘুরে অবিরত।
দেয় না তারে কেউ যেন রে একটু ভালবাসা
কেমন করে পৃথিবীর পরে করবে সে বাঁচার আশা।
ও বিধি তুমি দেখিছো সবি নিরন্তর
আদুল গাঁয়ে নাঙ্গা পায়ে ঘোরে সে তেপান্তর।
এতো বড় পৃথিবীতে জায়গা কোথাও নাই
ভালবেসে কাছে এসে দেয় না রে কেউ ঠাঁই।
পরনে তার ছেঁড়া জামা সকরুণ ঐ আঁখি নয়নে মেলে দেখেছি যখন দিতে পারিনি ফাঁকি।
কোমল হাত ফেরাতে পারিনি দিয়েছি কিছু টাকা
কি করব আমি দীনহীন পকেট যে মোর ফাঁকা।
হায় রে বাছা কিছু টাকা পেয়ে
আকুল আঁখির জল যায় যেন তার বেয়ে।
আমি অবাক এহেন তার চাওয়া
সারাদিন ঘুরে ফিরে হয় না তার খাওয়া।
হায় রে পথশিশু ঘোরে সবার পিছু
ক্ষুধার জ্বালায় বেলা অবেলায় হাত বাড়ায়ে চায় কিছু।
ওহে সমাজপতি, টাকাওয়ালা
কোথায় থাকিস আল্লাহওয়ালা?
নেমে আয় ঐ আরামের গদি ছেড়ে
চেয়ে দেখ কষ্ট আছে অনাথ কত এই অবনী পরে?



রচনাকাল :৩১ আষাঢ় ১৪২৩ বঙাব্দ
১৫ জুলাই ২০১৬ ইং