ঘন শ্যাম ধরা মাঝে
বধু মোর মরে লাজে।
আজিকার এ প্রথম শ্রাবণে
মন যেন হারাতে চায় প্রণয় প্লাবনে।
গগনে আজি ঘন সঘনে
কত রং রূপ তার হেরি ক্ষণে ক্ষণে।
পলে পলে মন বলে
ভেজা গায়ে শ্রাবণও জলে।
করি গো দু'জনে আজি মাতামাতি
জেনে যাক শ্রাবণ বারি দুজনার প্রীতি।
হেসো না হেসো না বধু ঘোমটার ফাঁকে
প্রবল প্রণয় জোয়ার মম হৃদয়টা ডাকে।
খোল তব ঘোমটা হেরি ঐ কাজল আঁখি
না দেখে তোমার রূপ কেমনে  থাকি।
বাহিরে শ্রাবণ বারি ঝরে ঝম ঝম
গহন রাতে  চারিধার যেন থমথম।
ওগো বধু এসেছে দেখ নিশুতি প্রহর
আর কতক্ষণ রাখবে ঢেকে রূপের নহর।
চাঁদ বদন দেখি আর করি গো আলাপন
বসুধার শ্রাবণ আনিল বুঝি প্রণয় প্লাবন।
ওগো বধু মুখে মধু মরো কেন হায় লাজে
তুমি আমার আমি তোমার ঘন শ্যাম ধরা মাঝে।
আসবে এখনই শ্রাবণ বারি ঝরানো ভোর
শোন প্রিয়া জুড়াব হিয়া রূপ দেখিয়া তোর।
আলোয় আলোয় রাঙায়ে দিয়েছে যেমন ঘরের বাতি
তেমনি করে এসো রাঙাই শ্রাবণের প্রথম রাতি।



রচনাকাল : ৩ শ্রাবণ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। ভোর:৪:০০ ঘটিকা।