আমি পথ শিশু চাইনি কিছু
চেয়েছিনু চরম ক্ষুধায় আহার।
তোমরা তবে কেন ভাই
আমারে করিলে নিঠুর প্রহার?
আমি যে বিশ্ব মাঝে নিঃস্ব এক শিশু
আহার চেয়ে প্রহার পেলাম কেউ বলেনা কিছু।
আমার যে মা নাই  বাবা নাই
তোমরা মোর মা,বাবা।
আপন ভেবে চেয়েছিনু খাবার
তোমরা মারিলে ভয়াল থাবা।
আহার চেয়ে প্রহার পেলাম
এতো নাহি ঘৃণা  মোর।
ক্ষুধার জ্বালায় এই অবেলায়
হয়েছি হায় চোর।
দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে
কতই চেয়েছি খাবার।
একটু খাবার দেয়নি কেউ
ছাড়ি খেয়েছি সবার।
অবশেষে দোকানে এসে
যেই দিয়েছি খাবারে হাত।
তোমরা মোরে মারলে শুধু
চোর বলে এই আমারে দিলে অপবাদ।
তোমরা পারো করতে সবই
আমি কী করব পথের শিশু?
শত মার খেয়ে তবুও
ঘুরব তোমাদের পিছু পিছু।
আমি পথের শিশু
পথের কাছেই দাবি জানাই মোর।
ভাগ্যদোষে সোনার দেশে
শিশু বয়সে হলাম চোর।
জন্ম থেকে জ্বলছি আমি
মা,বাবা কে দেখি নাই।
ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলছি ওগো
এক মুঠো ভাত দাও না ভাই?
শীত, গরমে দেয় না কেউ
মাথায় বুলায়ে হাত।
চাই না আদর শীতে চাদর
দাও না ভাই এক মুঠো ভাত?



রচনাকাল : ৫ শ্রাবণ ১৪২৩ বঙাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
রাত: ১২:২৭ ঘটিকা।