আজি এ আঁখি বারি কেমনে রাখি ধরে
আপনের আপন যায়  চলে নিজে গড়া নীড় ছেড়ে।
কেন হায় এসেছিলে নিজ ভূম ফেলে
আঁখি জলে ভাসায়ে সবারে যাও কেন গো চলে?
নিবিড় আরতি তোমারে জানাই আজিকার বিদায় ক্ষণে
তোমারে ছাড়িতে কী নিদারুণ ব্যথা লাগে আজি প্রাণে।
তব আদর, স্নেহ মাখা এ অঙ্গনের প্রতিটি ধূলি কণা
তব বিদায়ের বেদনা বুঝি তাদেরও আর সহেনা।
নবীন, প্রবীণ প্রানে বাজে গো বেদনার বীণ
কেমনে শুধিব ওগো জ্ঞান তাপস তোমার স্নেহের ঋণ।
কচিকাঁচা প্রাণে আজি বাজে বিদায়ের সুর
গোপন ব্যথায় স্বপন হায় হয়রে বুঝি চুর।
তব দরাজ হৃদয় স্বরাজ কণ্ঠ হেরি
কূজন যে জন সূজন হতো লাগতো না বেগ ভারি।
জানি থামাতে পারব না বিদায় বেদনার ঘন্টা ধ্বণি
তনু,মন, প্রাণে দিয়েছে বিষ ঢেলে বিষমাখা কাল ফনি।
অবেলার ডাকে দিতে হবে সাড়া যেতে হবে দুরে
কে গাইবে আর গান কে করিবে পুলক দান মধুর সুরে সুরে।
কে শুনিবে আর আকুল আরতি বিলায়ে নিবিড় প্রীতি
কে শোনাবে হায় বেলা অবেলায় কে হবে আর অমন দরদী।
তব চিত্ত নিত্য ছিল সত্যের ভৃত্য
অবিধি শত করিয়া নাশ শেখায়েছে সত্য বিধান,সত্য মনুষত্ব।
রিক্ত হস্ত সিক্ত নয়ন কিছু নাহি তোমারে দেবার
দিয়েছি খুলে আজিকার এ নভাতলে তবে তরে শ্রদ্ধার দুয়ার।
যেথা যাও ভাল থেকো বিধাতা করুণ আশীর্বাদ
সকরুণ আঁখি কেমনে আর রাখি ওগো জ্ঞান তাপস তোমায় ধন্যবাদ।।


পটভূমি : আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক, জনাব, মো: সবুর আলী স্যারের বিদায় উপলক্ষে লেখা আমার এ কবিতাখানি।



রচনাকাল :১৪২৩ বঙাব্দ   ১৭ শ্রাবণ
গাজীনগর,পাথারিয়া,সুনামগঞ্জ।
সকাল:৬:০০ ঘটিকা।