কে ডাকে মোরে কালো মেঘের ফাঁকে
হাওড় জলের হিজল গাছের দুরের গাঁয়ের বাঁকে।
ঐ ডুল কলমী ফুলে মৃদু হাওয়ায় দোলে কালো ভোমরা
শরৎ কালে খালে বিলে শাপলার মহরা।
কে যায় রে ঐ নদীর ঘাটে কলসি দিয়া কাঁখে
হেরিয়া তার ষোড়শী কাল ফুল ফুটিছে শাখে।
গাঙের বাঁকে ধবল পালে ডোঙা নৌকার সারি
গাঁয়ের বধু মুখে মধু যাচ্ছে বাপের বাড়ি।
শ্রাবণ সম বারি আজি ঝরিছে শরৎ কালে
হরেক রকম মাছের বাহার গভীর  হাওড় জলে।
পুলকে আজ উঠিছে ভরি জেলের মলিন বদন
ঝাঁকে ঝাঁকে ধরিছে মাছ শুনিবার পাই শরৎ গগনের রোদন।
তরী বেয়ে তীরে আসিছে গাঁয়ের  মেয়ে ছেলে
ইচ্ছে তাদের যাবে ওরা গাঁয়ের পাঠশালে।
আজকে নাকি ওদের নিয়ে হবে বিরাট সভা
মেঘলা দিনে আঁখি মেলে হেরি শরৎ শোভা।
ক্ষণে ক্ষণে গগন পাড়ায় ক্ষণপ্রভার শোভা
সোনার দেশে ষড়ঋতুর রুপ যে মনোলোভা।
সোনার দেশের সোনার মানুষ নানান রকম বেশ
হাওড় জলের হাওয়ার মায়ায় এই তো আছি বেশ।



রচনাকাল : ১৭ ভাদ্র ১৪২৩ বঙাব্দ
সকাল: ৮:০০ ঘটিকা।
দত্ত গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়।