স্বীয় রুপে মম মনের আরশিতে
হেরিয়া তব কায়া।
আলো আঁধারে ফেলিয়া যাও তোমার অদেখা মায়া।
মম মনের মাঝে বাজাও বীণা সপ্ত সুরের রাগে
নিরালে বসি হাতে লয়ে মসি তব প্রণয় জোয়ার প্রাণে জাগে।
নিত্য তুমি দীপ্ত এমন জ্বালো প্রাণে প্রণয় পশি
আঁধার আমায় ডেকে বলে এবার তবে আসি।
মম ভগ্ন মন মগ্ন কেবল তোমার মায়াবী রূপে
মনের ঘরে বসত করে লুকাও চুপেচুপে।
আশায় বাঁধিনু ঘর এ বিশ্বচরাচরে
ঘর হেথা মোর শূণ্য রহে পড়ে।
চর্ম চক্ষে চাহি চারাধারে
আলো আঁধারে তোমায় কেবল খুঁজি বারে বারে।
কিছু নাহি চাই অবাক এ বিশ্বালয়ে আমার তরে অনুরাগে
অভয় দাও দেখিবার তোমায় মরিবার শক্তি দাও মরার আগে।
দাও অমৃত সুধা
মিটাইব অতৃপ্ত অনন্ত ক্ষুধা।
হে প্রাণনাথ, আরতি করি দিবারাত্র
পূত কর,মম মন-প্রাণ  আরো কর পূত নশ্বর এ গাত্র।
তোমারে দেখিতে নয়নপ্রাতে অনন্ত ক্রন্দন বহে
ছলছল জলধার মম নয়নে নাহি আর সহে।
হে কৃপাসিন্ধু তুমি অমর,অক্ষয় বন্ধু
কৃপা কর দান ওহে মেহেরবান মোর তরে এক বিন্দু।


রচনাকাল :২৬ আশ্বিন ১৪২৩ বঙাব্দ