তুমি এসো হে পাঞ্জেরি
(রনি ই রানী)


ও আঁখি বারি অঝরে কেন ঝরিছে
বাতাসে কেন হায় বিষবাষ্প বহিছে?
হাহুতাস করিছে কালের কাণ্ডারি
ভাসায়ে অথৈ দরিয়া মাঝে পালতোলা তরী।
গগনে গর্জে সঘন ঘনঘন
উদাসী কবি আজ উনমনো মনো।
পাঞ্জেরি বুঝি বন্দী কালের পিঞ্জরে
নয়নোপান্তে ঝরে সলিল ক্ষণে ক্ষণে গুঞ্জরে।
অস্ত রবির শোভা আজি ম্রিয়মাণ
কবে আসবে পাঞ্জেরি পিঞ্জর ভেঙে,
করবে মহাকালের শান্তির শান্ত আহবান?
শান্তির পতাকাবাহী কবে আসবে অবনী পরে
তাই বুঝি ভাই দিবস নিশি আঁখি বারি ঝরে।
মন্দের মৃদঙ্গ বাজায়ে করে আনন্দ অধুনা চালবাজ
হরষে হরদম হাসে হাহা নাহি আজ লাজ।
আমি জানি তুমি আসবে কালের পাঞ্জেরি
হাসবে আবার কুসুম কাননে ফোটা নব মঞ্জরি।
দেখি গস্ত রবি অস্ত যায় ওপারে
মানবতার উত্তরীয় হারায়েছে আঁধারে।
তুমি এসো হে পাঞ্জেরি
তোমারে হেরিয়া টুটে যাক অঝরে ঝরা আঁখি বারি।
তুমি আবার এসো পাঞ্জেরি
মোরে করিও তব সহচরী।



রচনাকাল :১ পৌষ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:৯:০০ ঘটিকা।