ওরে ও সর্বহারা স্বর্গ কাঁপা
মর্ত্যে মার থাবা।
অালস্য,জরা, ক্লৈব্য তোদের
চরণ দিয়ে দাবা।
আয় জীর্ণতাকে পূর্ণতা দেই
অসভ্যতার গ্লানি মুছে।
সবহারাদের হয়নি সারা
চিত্তে বল জানি আছে।
আয় তন্বী নয়নে বহ্নি ফিনকি লয়ে
আয় নশ্বর বিশ্বের সকল বাঁধা ছাড়িয়ে।
আয় ধরার মাঝে বইয়ে দেই
রক্তিম রুধির ধারা।
আয় মুক্তির আহবানে সর্বহারা
প্রাণে প্রাণে জাগাও সাড়া।
ওরে ও সর্বহারা হও মাতোয়ারা
বন্দী শালা কর সারা।
আয় আমার নম্র,
আয় উদ্ধত, কৃষ্ণ, শুভ্র।
আয় আমাদের পৃথিবী গড়ি
আয় ধরার বুকে শান্তির তরে গলাগলি ধরে মরি।
আয় চূর্ণ করেই পূর্ণ করি
পাপে  ভরা প্রাচূর্য্য।
থাকিসনা আর অর্ধচেতন
আয় রে তুলি রণতূর্য।
করুণ স্বরে কাঁদিসনে আর
আয় বেড়িয়ে আয়।
পুঞ্জ পুঁজি করিব হরণ
লুটাব ওদের ধুলায়।
আয় জিঞ্জির ছিড়ে পিঞ্জর ভেঙে
আয় রে দঙ্গল বেঁধে।
পাপের প্রাচূর্য্য গুড়িয়ে দে
কাটাসনে দিন কেঁদে।



রচনাকাল :২২ মাঘ ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া বাজার,দিরাই,সুনামগঞ্জ।