পদ্মকমল পা দুখানি কাজল কালো আঁখি
না দেখে হায় মাটির ধরায় কেমনে বল থাকি।
আরো শোন নাকটি যেন পাকা বাঁশের বাঁশি
গগন থেকে এসেছে নেমে আকাশের ঐ শশী।
হাওয়ায় দুলে তাহার চুলে আসে প্রজাপতি
এলো চুলে বসে বলে দাওনা রুপ  একরতি।
ভ্র যুগল দেখতে দিঘল, আরো দিঘল চুল
কালো চুলের খোপায় গোজে চাঁপাডাঙার ফুল।
বাবা, মায়ে আদর করে ডাকে তারে রানী
পাড়ার যত দাদী, নানী ডাকে কামিনী।
গোরা বর্ণ বাহারি কর্ণ শুভ্র তাহার দশন
আঁখি যুগল বড়ই কোমল যেন পদ্মলোচন।
রুপখানি এমনিতর পড়ছে যেন চুঁয়ে
নিশির শিশির এসে তাঁর পা দিয়ে যায় ধুয়ে।
গাঁয়ের মেয়ে, সোনার মেয়ের কন্ঠে মধুর তান
শুনলে তার মুখের কথা ভরে আকুল প্রাণ।
চিকন চোকন চেহারা তাঁর মুখে রাঙা হাসি
যেন পাতাল জুড়ে করে খেলা গগনের ঐ শশী।
মুখের হাসি বেজায় ছোটে কারো একটি ভুলে
এমন হাসি দেখেনি কেউ নয়ন দুটি মেলে।
সাঁঝের বেলা কাঁটাবাসির সবুজ ঘাসে চরণ ফেলে
সোনার মেয়ে ঘরে ফেরে আঁচল ভরা শাক তুলে।
তাজা সবুজ ঘাসের মতন কাঁচা অবুঝ প্রাণ
ফুলের মতন চেহারা যেন দিয়েছেন মেহেরবান।
ঐ মায়াবী বদনে রুপ যেন তাঁর ঝরে চাঁদের কিরণ
বাগ বাগিচার ফুল সে মন করে হরণ।


রচনাকাল :১২ ফাল্গুন ১৪২৩ বঙাব্দ
আজকের কবিতাখানি উৎস্বর্গ করছি আমার স্ত্রী রানী কে।