তোমার জ্বালানো চিতায়
(রনি ই রানী)


তোমার জ্বালানো চিতায়  দিবস নিশি জ্বলি
তবুও ঘুম ও জাগরণে তোমার কথাই বলি।
আমি তো বনফুল
কেমনে হবো তোমার  নাকের ফুল।
আমি দূর্গন্ধময়, নেই আমার স্বাদ
জীবন প্রবাহে জুটেছে বিরহ বিষাদ।
আমি তোমার জ্বালানো আগুনে দগ্ধ
ছটফট করে প্রাণ, তবুও তোমাতে আমি মুগ্ধ।
তোমার কথার বাণে আমি বিদ্ধ
তবুও রেখেছি মোরে  প্রতি মূহুর্ত তোমার তরে বিশুদ্ধ।
আমি আজও জড়ের মতো নিথর
তোমার আঘাতে আঘাতে
তবুও আমার তনুপ্রাণ কাঁদে হায় প্রিয়া প্রিয়া বলে নিশিতে প্রভাতে।
আমারে করুন আঁখি বারি করেছে অবহেলা
বুঝতে পারনিকো কখনও হায় মোর ঘুমহীন নয়নের জ্বালা।
তোমার বেলা অবেলা শত অবহেলা
করেছো জীবন নিয়ে কত শত পুতুল খেলা।
আমি তবুও মুগ্ধ তোমার কুক্ষণে আচরিতে
আমি সতত প্রস্তুত তোমার ব্যথা নিতে।
যতই যতনে রাতে দিনে মোরে ব্যথা দাও
আমি সইব সবই বলবনা কিছু আমারে তোমার জ্বালানো আগুনে জ্বালাও।
আমি আজি ভিখারি পথে পথে ঘুরি
তুমি নীলাম্বরী রুপে আমারে মারে ছুরি।
ভেবে ছিলাম আমি হায় কতকী
কেতক হবো আমি আর তুমি হবে কেতকী।
আজ বুঝেছি ওসব মোর মিছে আশা
ভালবাসা ও কিছু নয় কেবল নয়নের জলে ভাসা।
তবুও কেন জানি মোর পোড়া মন
তোমার বহ্নি বদনে চেয়ে রয় অণুক্ষণ।
পোড়া বুকে মোর ধিকি ধিকি জ্বলে তুষেরআগুন
তুমি কাননের কুসুম হেরি তোমার আননে মধুর ফাগুন।
তোমারি বিরহে অহরহ আমি কাঁদি
হারোনা প্রিয়ার আসার আশায় স্বপ্ন বুকে বাঁধি।
দিনে দিনে ঝরে যাক যতই মোর নয়নের নীর
বেদনাহত বুকে হানো তোমার বিষ মাখানো  তীর।
আমারে তুমি কর গো করুনা
এ নহে মোর হীন বাসনা।
যতনে  দান কর যত যাতনা
আমি তবুও তোমারে ভুলবনা।
মোর এ সাধনায় যত দাও বেদনা
তোমারে নাহি  ভুলিব ওগো ললনা।
আমার ভুবন মাঝে সকল কাজে
তোমারি প্রেমের বীণা বাজে।
তবুও কেন হায় তব তনুপ্রাণ
নাহি বোঝে মোর বিরহ অভিমান।
আমার করুন আঁখির অশ্রু তোমারে করে যাই গো দান
দুর যাও ব্যথা দাও গাইব তবু তোমার গান।



রচনাকাল :১৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বঙাব্দ
পাথারিয়া,দিরাই,সুনামগঞ্জ।
রাত:৮:৫০ ঘটিকা।