শীতের কুহেলি ভরা সকাল ।
তোমার পথ চাওয়াতেই হয় বিকাল ।
উৎসুকে দিবস অতিক্রান্ত, সকাল থেকে বিকাল ।
তবু আসে না ফিরে , সে কাল ।
দ্বার খুলতেই একরাশ জলে ভেজানো বাতাস;
সিক্ত করে মনের হাহুতাশ ।
চারিপাশে তারে, খুঁজে ফিরে বেড়াই _
এমন শুধু আকুলায়, মরি আমি লজ্জায় ।


রোজ পুবের গগনে রক্তারুন রবির উদয়;
পশ্চিমে যায় অস্তাচলে, পুবে হয় অন্তোদয় ।
সুধায় মিশ্রিত তাপ বিকিরণে;
সবার হ্রদয় করে সে জয় ।
হৃদয় আমার, সে পথে পেলনা হায় বিজয়!


বাগিচার কোনে ফুটেছে এক গোলাপ ফুল;
পত্র আর কণ্টকে জড়ানো তার দুকুল ।
পাপড়ি বৃন্দ কুহেলি র বিন্দু বিন্দু জলে সদ্যস্নাত ।
হাল্কা সমীরণে আন্দোলিত, খুশির আবেগে প্রাণ নিবেদিত,
রাখে সারারাত অনেক কষ্টে সাজায়ে ।
গভীর আবেগী ফুল এইটুকু মাত্র চায়,
গৃহকর্তা যেন একবার ফিরে তাকায় _
আর বলে, " কি সুন্দর গোলাপ ফুল! "


জীবনের রঙ-বেরঙের খেলা ঘরেও এই সুর নিত্য বাজে ।
চলছে অহরহ, দিবারাত্র, অবকাশ নেই কাজে ।
কাজের উত্তাল স্রোতে সব ভেসে যায়;
রঙীন বসন্ত বারবার পিছুপানে তাকায় ।
সময় উপহাস করে দুজনারে, হেসে লজ্জায় ।


ফড়িঙের মত ডানা মেলে মন, উড়ে যায় দূর দূরন্ত _
আবার আসবে কবে ফিরে সেই রঙীন বসন্ত?
সুমধুর সুবাস বইবে পুষ্পবনে;
অলির গুঞ্জনে, কোকিলার কুহু কূজনে;
মন ভরিবে সখী, আমার রাগ বিতরনে ।
মাতিয়া উঠিবে প্রাণ আলোড়নে ।
বধূ নিমীলিত নয়নে বসে আছে একা একা;
বাবার দুলালী, সংযত লজ্জায় করে প্রতীক্ষা ।  


বাবুল আচার্যী  05/01/2016