বসত বাটি খোঁজে এমন তোমায় ঘিরে,
অনাহূত, জানি আমি, তবু মন ঘুরে ফিরে ।
কোমল নদীর মাঝে, ইচ্ছেগুলো ডুবুরি _
প্রকাশে ফোটে দুনয়নে আয়নার নগরী ।
কালোমেঘের অন্তরালে জলাধার বয় _
বারিতে মাটি ভেজে, শুধু তাই কী হয়?
ভাষাহীন কত তথ্য অজানাতে রয়ে যায় _
মা - টি আঁচল পাতে, কজন বোঝে তারে হায়!
শেষাংশের যত কিছু, স্মৃতি পটে থেকে যায় ।


কাজলা দীঘির চোখ দুটো  নীরবে কথা বলে,
মন ছোটে তারি পিছু, নিশিদিন শুনে চলে ।
মনের জলছাপ ফুটে ওঠে অজস্র ধারায় ,
মোর আঁখি সযতনে মনে শুধু আঁকে তায় ।
কখনো বা কামরাঙার লোলুপ উষ্ণ প্রস্রবণ,
সেই জলাধারে নেমে করো তুমি স্বোন্নয়ন ।
কখনো স্রোতস্বিনী গঙ্গোত্রীর পুণ্য জলধারা _
কারো ত্বরে বহে যদি, করে তারে হৃদিহরা ।
কখনো রক্তারুনের মতো রক্তচক্ষু মা চণ্ডী ।
কখনো অঝরে কলকল ঝর্ণানাদে স্নেহময়ী ।


এত রূপের ছবিগুলো রাখবো আমি মনে ধরে;
আমায় তুমি রাখো যদি হৃদি-মাঝে একটি করে ।
দেখব আমি ছবিগুলো বিবর্তনের কক্ষপথে _
চলার পথে, আঙিনাতে, সকল মোড়ে আবর্তে ।
দেখব আমি ঐ চোখে, সুধায় ভরা বাতাস মেখে
যদি বলো, কাছে রাখি, পুরোনো এক আবদার _
রেখেছি মনের গভীরে _ জানেনা মন কবেকার?
চলো তবে গড়ি মোরা ,দুজনার প্রেমবাটি _
সেই বাটি হবে মোদের দুজনার বসত  বাটি ।