নূতন দিগন্ত, নূতন কবিতা, নূতন অধিকার ,
নবীন যৌবন, নবীন স্বপ্ন, নবীন সংসার  ।
প্রেমের পরশে সব কিছুই হয় পরশ পাথর !
মন সবারেই কাছে টেনে নিয়ে করে আদর ।
অগুনতি বুলবুলি ওঠে ফুরফুরে হাওয়া বয়,
দুঃখ ফুলঝুরিতে কোমল পাপড়ি মেলে রয়।


বালিয়াড়ির স্তুপে বসে গেঁথেছিলুম প্রেমের হার;
চিতায় ভস্মীভূত প্রেম, হলো যেন সব ছারখার ।
সময় সাক্ষ্য দিতে আসবে না একলা জানি,
নিম্ন চাপ বইছে মনের উপকূলে,নেই পানি ।
সে দখিনা বাতাস আজ উত্তর কোনে বইছে,
ঈশানকোনের দ্বার আজ পুরব দিকে খুলেছে ।
কালচে প্রাচীন প্রস্তরে ঘেঁষে বসেছিলুম সেদিন,
ডলফিনের আনন্দে মন মেতেছিল,আজ দুর্দিন ।
আজ সেখানে হলো কর্পোরেটের প্রবেশ দ্বার ।
ভালোবাসার অর্ঘ্য স্থল হল সমাধি, দোষ বল কার ?


শিশির স্নাত সবুজ পাতার জলবিন্দু গুলো  কোথায় ?
আয়না মেলে ধরেছিল দুজনার প্রাণবন্ত হাসির ...
আর বলেছিল দুজনে দুজনারে করোনা অবিচার ।
যে স্নিগ্ধ বাতাস পাতায় আন্দোলনে দুলছিল ।
মনের  আবেগী আবেশে পাখার কাজে মেতেছিল ।
মনের জলছাপ ছিল ঐ আন্দোলিত বাতাসে।
বাগিচার গন্ধরাজে সেদিন সুগন্ধি বিতরন
করেছিল মনের আঙিনাতে ।
সামান্য করের পরশে উষ্ণতা হাত বেয়ে...
দেহের প্রতিটি অঙ্গকে উষ্ণতায় ভরে দিয়েছিল ।
কত স্বপ্ন, কত গান, কত হাসি, কত ঝর্ণা,
সব স্মৃতির প্রেক্ষাপটে আজ বিবর্ণা ।
স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা স্বপনেই থেকে গেল ।
স্মৃতি গুলো সিন্ধুর ওপারে ঘুরপাক খাচ্ছে ।
মাঝেমধ্যে উকি দিয়ে মনটাকে ব্যথায় ভরিয়ে দেয় ।
এখন সময়ের সাথে অশ্রু শুধু  নুনতো জলের আস্বাদ করে ।
আর স্মৃতি গুলো সৈকতের বালির মত ভাটায়
সাগরের অতল গভীরে প্রস্তরে পরিনত হয়েছে ...
ডুবুরি ও যার কোনদিন খোঁজ পাবেনা ।


বাবুল আচার্যী  02/02/2016