কারা যেন প্রকাশের আঁচকে করেছে স্তিমিত,
কারা  আলোর আলেয়াকে করেছে পশমিত ,
গগনে কালো মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়,
শ্যামলী কুচকুচে কালো রঙে হেসে দাঁড়ায়।
শ্বেত দাঁতের পাটি আঁধারে পরিচয় খোঁজে_
বিস্তারের লড়ায় ? থাকে গহ্বরে চোখ বুজে ।
সীমা পরিসীমার মাঝে চলে অহরহ দ্বন্দ্ব,
মনের অন্ধ গলি ,তাই সুমুখের পথ যে বন্ধ।
গাঁয়ের পথ দিবারাতি গুমড়ে বসে কাঁদে,
অস্থি চর্মসার কংকাল পরিনত মরন ফাঁদে ।
জোনাকির মত জ্বলে যেন চন্দ্রমার মলিন_
দাগ নিয়ে করে গরব জাতের,রাতের  কুলীন ।
গতির দিশাকে অবরোধ করতে উদ্যত  যারা,
উর্বর ধরণীকে করবে ওরা বঞ্জর ,তপ্ত সাহারা ।
নামী উপন্যাস, সেল্ফে অসাড়, বড়ই প্রাচীন ।
পাতায় মাঝে লুকানো সকল সত্য অর্বাচীন ।
যেন রাহু কালের দিশাকে করেছে গোগ্রাস,
অনু-অনুতে ,বিষাক্ত বায়ুতে,নেই শ্বাস-প্রশ্বাস।
সূর্যাস্তে নেমেছে আঁধার, মলিন আস্তরণে ,
রক্ত-রাঙা কলুষিত মিশে গেছে নীল বর্ণে ।
হৃদয় গহীনে লাল নীল কালোর  সমাহার,
আঁধার আলোকে করছে বেধড়ক  প্রহার।
হৃদয়ের ভেতরে লুকোনো মনটাকে দেখেছি ,
শস্য ফুলের হলুদ রঙ গায়ে ও মনে মেখেছি ।
মনিকঙ্কণা কলসী কাঁকে জল নিতে আসেনা ,
কালের লোলুপ দৃষ্টি,  তার যে আর সহে না ।


বাবুল আচার্যী  13/03/2016