বহু আঁকাবাকা পথ ভ্রমণ করে মন ও দেহের সাথে
অনেক দূর এগিয়েছে ।
অনুভূতি ও ক্রমশ নীল, সবুজ, হলুদের সাথে
মিশে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে কোন এক প্রান্তে পড়ে থাকে ...
স্মৃতি কোষের ও সক্ষমতা - অক্ষমতা থাকে ।
উদ্ধার কার্য বড়ই কঠিন হয়ে পড়ে ।
কত রামধনু নিজেই মনে ছবি আঁকে ;
কত রামধনু দেখে আমরা ছবি আঁকি ।
প্রচ্ছদ একটাই, কিন্তু পার্থক্য অনেক।
তবু কিছু অনুভূতি সতত শাশ্বত অবিনশ্বর,
প্রদীপের শিখার মতো তেল ফুরিয়ে_
না যাওয়া পর্যন্ত জ্বলতে থাকে ।
শেষাংশের জ্বলাটা জাজ্বল্যমান , অনেক বেশি প্রত্যয়ী ।
সে দিনটা ছিল জীবনের প্রথম  অনুভূতি প্রাপ্তির ,
হৃদয় সঙ্গমের দিন ।
বাইরে পৌষের শীতের হিমেল  বাতাস, কনকনে ,
শিরদাঁড়া টানটান, ভেতরের চর্বি জমে উঠেছে ।
অটোরিকশা ছুটে চলছে গন্তব্যহীন পথে ।
বসে আছি বাকরহিতদুজনে  ।
হঠাৎই নরম কোমল করো'পরে উষ্ণ স্পর্শ,
শরীরের জল নিমেষেই বাষ্পে পরিনত হয়
বিন্দু বিন্দু ঘেমে আদ্রতা রূপে দেখা দিল বাহিরে ।
সে অনুভূতি, বিবর্তন এখনও মগজে বিদ্যমান ।
সেই জানা ছিল বিশ্বাসের প্রতীক......
জানা -অজানার মাঝে লেলিন রেখা কাজ করে ।


বাবুল আচার্যী  19/04/2016