খাদটা ছোট্ট থেকে কিভাবে বৃহদাকার হল বোঝায় গেল না ।
কখন কথার মালার শব্দরা চ্যুত-বিচ্যুত হয়েছে ,.........জানা নেই ;
কখন নাও এর পাল ছিঁড়ে গেছে ...
বিপরীত দিশায় বইছে .. জানা নেই,
কখন পথের ধুলো উড়ে এসে দৃষ্টি ঝাপসা করেছে .... জানা নেই ।
কখন দুজনের কর্কশ শক্ত শব্দের বাণে বাণে_
অন্তর্ঘাতে ক্ষত বিক্ষত করেছে হৃদয় হৃদয়ে ...
কখন রক্তক্ষরণ হতে শুরু করেছে ।
প্রবল রক্তচাপ ধমনী শিরা বেয়ে দুচোখে
সিঁদুরের লেপ দিয়েছে ...জানা নেই ।
দুজনের মুখ তূণে অভীষ্ট লক্ষ্য সাধনে_
কত শব্দ-তীর রাখা ছিল ..জানা নেই ।
কখন শব্দ বাণের ঘর্ষণে ঠিকরে স্ফুলিঙ্গ ঝরেছে ..জানা নেই।
জানা নেই,  জানা নেই,  জানা নেই

জানা নেই, বিশ্ব চড়াচড়ে ভগবান কী ও তাঁর অস্তিত্ব কোথায়  ?
এমন হৃদয়-রূপী ভগবানের নিগূঢ় সত্য ও সত্যের সাত কাহন ।
রোষানলে মনটা তুসের আগুনের মত জ্বলছে !
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি র মত ভেতরে তরল লাভা বইছে ।
হৃদয়ের ঢাল ভেদ করে কোমল মনে দাউ দাউ_
করে আগুন লেগেছে ......
স্বজাত তুলতুলে অনুভূতির বাসিন্দারা_
কেঁদে কেঁদে পুড়ছে,  জানা -অজানায়_
হুঙ্কার নাদের ফুলকিগুলো কার্পাস তুলোর মত_
চত্বরের বাইরে উড়ে উড়ে পড়ছে  ।
আরব সাগরের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে মনের উপকূলে ।
নয়নের গলিত ধারা মোহনায় ঘুরপাক খাচ্ছে নোংরা জলে  ;
চিন্তার মলিনতা মন প্রাণে বিষ ঢেলে দিয়েছে ।
দিগ্বিদিক শুন্যতায় ছেয়ে গেছে , এ গোটা বিশ্বের
সবকিছুই নশ্বর ,সতত শাশ্বত শূন্যে ভেসে আছ ।
হৃদয়ের বিষাক্ত সুর, চোখে বেশ বড় বড় শূন্য  এঁকে চলেছে;
সেগুলো ফেনিল সাবান গলা জলের মতো ,
শত সহস্র শূন্য  এঁকে চলেছে অদৃশ্য বায়ুতে ।
মন শূন্য , হৃদয় শূন্য , বিশ্বব্রহ্মাণ্ড শূন্য;
শুন্যের মাঝে পৃথিবী ঘোরে,  ঘোরে গ্রহ সব ভিন্ন ভিন্ন ।
এলোমেলো মগজে বিষফোঁড়া নিয়ে বাতায়নে বসে আছি,  ভাবছি ...আর শুধু ভাবছি ।
ভাবছি ভালোবাসার সুর মনে-প্রাণে কিভাবে বাজে,
রাগ রাগিণীর সুরে ই বা কত সুর তাল লয় আছে  ,
কত বৈচিত্র্য ই বা আছে?
ভাবছি .......
রবি শশী খেলা করে এক আকাশের মাঠে ।
তবু নেই বুকজ্বালা, দহন ,ভ্রুকুটি ভঙ্গ  সৌর পরিবারে ,
শশীর মাঠে কত কালো রেখা দৃর থেকে ভাসে ।
আমাদের ভ্রুকুটি ভঙ্গে কলঙ্কের দাগ মনে হয়  ।
তবু ওরা সুন্দরী শর্বরীর কাজলের টিকা ।
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারার মাঝে কি অমোঘ আকর্ষণ ।
কাল অজানা কোন এক প্রান্ত থেকে প্রেয়সীর_
স্বর ভেসে আসে বেতারে ,
বলেছিল আইন কানুনের পত্র গুলো পেয়ে যাবে ।
বিনামেঘে বজ্রপাত ,
সিন্ধু সভ্যতা মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ।
হয়ত বা আমার ও তাই হবে!
পুঞ্জীভূত জমানো ক্ষোভ বাড়ির দেয়ালে লেগে_
আমাকেই করাঘাত করছে বারবার ।
রোদ ভরা দুপুরে মেঘের কোলাহল শুনি ,
মেঘে গুরু গুরু গর্জন হৃদয়ে দুরু দুরু কম্পন;
সেই কম্পনে থেমে যেতে চায় হৃদয়ের স্পন্দন ।


কুজ্ঝটিকার রেশ টা কমেছে, ঝাপটা ও  নেই বাইরে ।
আকাশের মেঘ গুলো এক এক করে ধীরে ধীরে
সরতে শুরু করেছে ।
মেঘের সাথে সাথে চিন্তার ময়লা গুলো_
ও চোখের ছানি সরে যাচ্ছে  ।
এমন সময়ে দরজায় ঠক ঠক শব্দ;
সে শব্দ গুলো আলোর রাশি মনে হলো;
কপাট খুলে দেখি আলো আমার প্রেম ভালবাসা_
হাসি মুখে দ্বারে দাঁড়িয়ে আছে ।
দুটি বিগলিত মন মিলে গঙ্গোত্রীর পুণ্য জলধারা হয়ে সাগরে মিলেছে


বাবুল আচার্যী  21/04 /2016