তুমি কোন দিগ্বিলয়ের ইঙ্গিতলীন_
অদৃশ্য সংকেতে জেগেছিলে ;
নাম না জানা পাহাড়ের চুড়া থেকে_
মিশে গিয়ে জীবনের মিছিলে ;
বয়ে চলেছ চিকণ-স্বর্ণ বালি মেখে _
সুদূরে নীল প্রান্তরে হয়েছ বিলীন।


স্বচ্ছ জলে ছিল সতত উদ্যত প্রবাহ ,
বঙ্কিম অঙ্গের দুকুলে সবুজ বনানী ;
শীতল ছায়া পরশ করে যেন জননী ।
মাঝে মাঝে অবারিত মুক্ত কটিদেশ ;
সে দেশের শুভ্রবালি সুন্দর পরিবেশ

মন প্রাণ বাতাস ভরে যেতে  সুকান্তিতে;  
নদী তুমি গেয়ে যেতে, সুর দিতে  শান্তিতে।
সে সুমধুর সুর আজ মনে আনে  প্রদাহ ।


মেঘের গর্জন নাদে দেখেছি তোমার প্রতাপ;
দেখেছি বরষায় দুর্বার খরস্রোতা নদী ;
সে ভয়ানক তাণ্ডব ভুলিনি আজ অবধি ।
বুকের পাঁজরে র কাদা বালি নুড়ি মিশে গিয়ে ,
পাড়া পড়শীর উপকূলে যেতে তা ছাপিয়ে ।
ফুলে ফেঁপে চালাতে কি তাণ্ডবলীলা!
যৌবনে ছিল তোমার ঐ লীলাখেলা !
বয়ে আনতে ভেঙে বনলতা,গাছের মাস্তুল ;
যৌবনের কীর্তিনাশা কর্ম ই ছিল জীবনের ভূল,
আজ তুমি রুগ্ন,শীর্ণ, গাঁয়ের পথের মত বয়ে যাও,
তবু হারুলংফার নদী, বেঁচে থেকে আমাদের প্রাণ বাঁচাও ।


বাবুল আচার্যী  29/04/2016