সাঁঝের  আকাশে সেদিনও শত সহস্রতারা নির্ঘুমে জেগে ছিল ,
ওরা উৎসুকে মিটমিটিয়ে,কেউবা অপলকে দৃষ্টিপাত করছিল ।
আগ্রহী বাতাস মৃদু-মৃদু বইছিল ....
হাল্কা পরশে অনুভূতি র যৌবন মনে ফুল ফুটিয়েছিল ।
সেগুলো শিরা ধমনী বেয়ে প্রাণবন্ত জীবনের শীর্ষাগ্রে.....
মুখমণ্ডলে লজ্জায় রক্ত রাঙ্গার রূপ নিয়েছিল ।
শুকনো পাতা নাড়িয়ে আমাদের জানান দিয়েছিল ..
.সাড়া দিয়ে ..
বিজন এলাকায় বসে তোমরা দুজন শুধু নও _
আমি ও আছি, সাক্ষ্য হতে_
মনের গোপন কথাগুলো দ্বিধাহীন  বলে যাও ।
পলকে পলকে রাত কাটে, যায় দিন প্রতিদিন,
সময় ভিখিরি যেন চেয়ে থেকে হয় নিঃস্ব বিলীন ।
আস্তরণে সংকোচনে ভাষার সমাধি হয়ে যায় ;
কুঠুরিতে জমে থাকা অমূল্য রতন, কেহ নাহি পায় ।
না বলা শব্দ গুলো দমবন্ধ করে অন্তর গভীরে রেখেছ বন্দী;
শোকাহত ওরা ,মৃত্যুর দ্বারে উপনীত , কে দেবে জবানবন্দি?
নিরিবিলি শান্ত এলাকা, হৃদয়ের পছন্দের প্রচ্ছদ পট ।
আসবে না পিছুপানে কারো পদধ্বনি , নিঝুম নদীতট ।
এখানে প্রতিধ্বনি প্রতিবাদ করে না , করেনা কলরব,
বেতারে বেতারে রটে যায়,ঘটনার অনুবাদের অনুভব ।
কথারা একে অপরের সাথে ঠেসে রয় না, বিস্তর ভূমি  ।
শব্দরা প্রাণে ছুঁয়ে যায় তার  ,ওরা আজ অনেক দামী ।
মুখের নির্গত শব্দরা চ্যুত-বিচ্যুত পর্বতশৃঙ্কলে হারিয়ে যায়,
উৎসে ফেরার পথ দুর্গম , দুর্বার ,ক্লান্তিতে দিশা নাহি পায় ।
শান্ত স্নিগ্ধ বাতাস, আকাশ পাতাল জুড়ে আমার বিস্তার,
সবারে করি আপন দিয়ে প্রাণবায়ু, নেই কাজে নিস্তার ।
লক্ষ নিযুত কোটি কোটি অনু পরমাণু নহে কেহ দীন  ।
বুকে ধরে রাখি সবার আদৃত অনাদৃত ভাষা , সর্তহীন ।
হৃদয় আমার কাঁপে ভাষার জোয়ারে এমনি রাত্রি দিন ।
হৃদয়ের দ্বার খুলে দিয়ে তারে , জীবন তোমার কর রঙীন ।


বাবুল আচার্যী  12/05/2016