আমি যে Engineering Instute এ পড়েছি , পুরো নাম হচ্ছে শিলচর পলিটেকনিক, সংক্ষেপে " শিল্পো" বলা হয় । সেখানে আমার বন্ধুবর প্রাণ হারিয়েছিল । তার স্মৃতি ধরে রাখতে এই কবিতা লিখলাম ।
************


আলো ঘেরা আঁধারে, চলো বসি কেদারে ,
স্মৃতি গুলো পিছু পিছু, কাছে ডাকে, আইরে ।
তুই বন্ধু ভালো থাকিস, মন যেথা চাইরে_
তবু মন তোরে ডাকে, পিছু পিছু ভাইরে ।
তুই বন্ধু ঝরা পাতা, কেনো গেলি আকাশে ,
তোর ত্বরে কাঁদে মন, স্মৃতি ভাসে বাতাসে ।
শিল্পোর আশা যত , শিল্পোর ভাষা তত,
শিল্পোর চলা রীতি, শিল্পোর নব নীতি ,
বুকে নিয়ে চলি মোরা শিল্পোর প্রীতি ।
প্রীতি গুলো আঁকে মনে , শিল্পোর স্মৃতি _
স্মৃতি কিছু ব্যাথা দেয়, দেয় কিছু প্রীতি ;
প্রীতি আর স্মৃতি নিয়ে শিল্পোর গীতি ।
সবে মিলে সুর দাও শিল্পোর গানে ,
গানে তানে ভরে তুলি , জনে মনে প্রাণে _
প্রাণে প্রাণে মিলে হবে স্মৃতি গুলো তাজা;
তাজা প্রাণে কাজ কর , পাবে ভারি মজা ।
দিন গুলো মোড়া আছে  শিল্পোর পাতায় _
তার মাঝে কিছু স্মৃতি দোলা দিয়ে যায় ।
আমাদেরি বন্ধুবর ছিল কৌশিক সরকার ,
বেঘোরে প্রাণ যায়, শিল্পোতে হাহাকার ।
মিত্র রূপে শত্রুর ঘাত, বোঝেনি সে আঁধারে,
যমদূত ছিল ওরা, প্রাণ নেয় বেঘোরে ।
শিল্পোর এই স্মৃতি করে মনে রেখাপাত ,
ধীরে ধীরে মুছে গিয়ে হল তবে ধরাপাত ।
দিন বয়ে কাল হয়, কাল শেষে বছর,
নবীনেরা নিয়ে এলো নূতন লহর ।
শিল্পোর বৃন্তে এল  নব নব পাতা _
কেহ ঘামে রোদ্দুরে, কেহ নেয় ছাতা ।
কত জাতের ফুল ছিল শিল্পোর বাগিচায় _
মালী ছিল বন্ধুরা ,দেখে শুনে রাখতো তায়।
জয়শ্রী,কলাপি, মিতালি ,ছিল,সুন্দর ফুল;
শিল্পোর হাওয়া লেগে করতো এরা দুল ।
শিল্পোর গন্ধে, বর্ণে , বাতাসে,  এরা ছিল সুবাস ।
এখনের নবীনেরা রচে যাবে ,আরো কত ইতিহাস ।


বাবুল আচার্যী  13/05/2016