হে বীর! ভারত মাতার সতন্রপ্রহরী, তোমারে করি নমন,
          ঘনান্ধকারে শত্রু ছড়ায় মৃত্যু - বিষ, তুমি কর তারে দমন ।
শত্রুর দল উদ্যত, কীটের মত তোমার অঞল কাটে,
        তুমি জাগ্রত থেকে মুক্তি দাও তারে ,বন্দুকের গুলিতে ।
মাত্রিবন্দনা করে নিয়েছ শপথ, জনমের সাথে মরনের,
         কবে কোনযুগ হতে নাড়ির বন্ধন, রয়েছে ভারত মায়ের ।
নিশুতি রাতে তর্জন গর্জনে,শত্রু বাতাসে আগুন ছড়ায়;
          প্রতিহত কর তারে প্রত্যুতর দিয়ে, বারুদ বাতাস ভরায় ।
মায়ের বক্ষে যে শেল করেছে বিদ্ধ,
      প্রত্যুতরে শেল ছুটে , হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ।
রক্তে দামামা বাজে, মৌন সমুদ্র জেগে ওঠে,
       পাল ছিঁড়ে গিয়ে ভেসে চলে মৃত্যু নদীর স্রোতে ।
জীবন মাঝারে, অস্ফুট হাহাকার ভেসে আসে বারবার,
বাতাসে ভর করে,
জননীর ক্রন্দন, প্রেয়সীর উৎসুক চাহনি,
কোলের শিশুটি ভোগে জ্বরে ।
কত কালো ছবি এঁকে যায় মন,মানসপটে,
সেগুলো ধোঁয়াটে, আবছা.
দেখে না কোন শহুরে প্রদর্শনীর পর্দাতে ।
সব ছাপিয়ে যায়, ঐ একখানা মুখ,
যে সইছে সৃষ্টি হতে পাহাড় ভরা দুঃখ ।
রেফারেণ্ডাম, দেশভাগ, ক্ষুদ্র স্বার্থনিতি,
বিভাজন হয়েছে মনের, মাটির,অর্থনীতি  ।
ইতিহাস পড়ে নিতে পার, প্রতি পাতা খুলে,
      মায়ের আভরণ নিয়ে গেছে কতবার, গলে ছিল দুলে ।
সময় বয়ে গেছে, মায়ের সন্তান এখন, উদ্যত, উন্নত ,
       যৌবনের টগবগে রক্ত, বাহুবলী, শক্তপোক্ত ।
হিমাদ্রির হিমেল হাওয়ায় তুষারের ঝড় বয়ে যায়,
       ধমনীর রক্ত তবু শিরা - উপশিরায় আগুন ঝরায় ।
জীবনের স্বপন যত ঘিরেছে তোমার আঁধার পথে ।
        অবরোধ করে নাই তাহা তোমায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে ।


বাবুল আচার্যী  17/05/2016