যে এসে দাঁড়ালো দুয়ার দ্বারে ,
নিয়ে এল খুশি সাথে, বলি কি তারে ।
               শুধু উৎসুকে চেয়েছিলাম, দুচোখ ভরে ।
               কাজলা দীঘির মত গভীর দুটো চোখ,
               আনন্দ মনে একগাল হাসি ভরা মুখ ;
      ললাটে শুক্লবেশে শুক্লশ্বরীর বাঁকা টুকরো জেগে আছে,
      গোলাপের কোমল গোলাপী পাপড়ি,অধরে মেলে আছে ,
      জুহি বেলি র সুগন্ধে বাতাস খুশিতে মৌ মৌ করছে ।
      কপোলে র দুপাশে টটোলে_
      নুরজাহানের ছবি ফুটে উঠেছে ।
      একটি ছোট্ট তিলে নজর দাগের চিহ্ন  রয়েছে ।
       মন বেসামাল, তবু সুধায় তারে,
       কে তুমি এলে ভর দুপুরে?
       আমি চিনি নাই,  চিনি নাই তোমারে ।
:      কিশোরী হাসির ঝড় তুলে বলে,
        কেন কর পরিহাস, আমারে ভুলে গেলে !
        চোখে চোখ রেখে খুঁজে দেখ অন্তরে,
        পাবে মোরে খুঁজে তব হৃদয় গভীরে ।
            এক যুগ বিরহে ভুলে গেলে প্রিয়া
            তুমি যেচে নিয়েছিলে মোর হিয়া।
            শুষ্ক খেতে বরিষণে খাল বিল ভরে গিয়েছিল,
            হৃদয় হৃদয়ে অনুলিপি লিখেছিল।
            এক যুগ ধরে মলিন হয়েছে হৃদয়,
            কালোমেঘের অন্তরালে সুর্য ঢেকে রয়।


বাবুল আচার্যী  22/05/2016