রভস চিত্তে,  কর্দমাক্ত পথে,  হেঁটে চলেছি নিরন্তর,
আকিঞ্চিত আশা, দুরাশার বাসা , দুর্গম প্রান্তর ।
রক্তারুন সন্ধ্যার আকাশে, ছড়িয়ে দিচ্ছে রুধির !
কবির কলপনায় মনে হয়, কখনো   আবির ।
শোকাহত রবি,  রোষানলে , যেন আগুন জ্বলে !
পথের ধারে,  শিশুটির নিথর দেহ মৃত্যুর কবলে।
সারা নেই তার,  ঠাণ্ডা, মরে গেছে কবে !
প্রাণ বায়ু উড়ে গেছে,  কথা নাহি বলে ।
ওহে পথিক,  ফিরে দেখো তারে একবার,
ওর কেহ নাই ভাই ,আসবে না সে ,ফিরে বারবার ।
জাগেনা তোমার পরাণ,জাগে না ,কি অন্তর ?
দয়া মায়া কাপুর বাষ্প যেন , হয়েছ অতি স্বার্থপর ।
এরূপ দেখে তোমার, লজ্জায় আমি মুখ ঢাকি ,
রোদনে বুক ফাটে, প্রাণপাখি উড়ে যাক, উড়ে যাক পাখি ।
নেই তোমার অবকাশ,পিছু তাকাতে বড় ভয় !
বশে  নেই স্বার্থ, স্বার্থের কৃতদাস তুমি , তাই স্বার্থের এত  জয়।
ভুলে যাও তুমি, মৃত্যুর নেই লেখাজোখা, নেই পরিমাপ ,
সেই ছোবলে কবলিত হতে পার তুমি , যদি দেয় এক ঝাঁপ ।
সন্তাপের  নেই উত্তাপ ,নাহি জাগে মনে  প্রশ্ন ,
কে এই শিশু ?  কোন অবুঝ পাপের সন্তান?
আলোর আড়ালে ,মুখ লুকোতে চাও , শিশুটিকে  দিয়ে  বলিদান ।
ধন্য তুমি মানব,  ধন্য তোমার মেকি মানবতা,
মুখোশের আড়ালে, কত আছে অপরাধ,  নিঠুরতা ।
হায়রে জীবন,  বলে গেছে কবি মধুসূদন,
"জন্মিলে মরিতে হবে,  অমর কে কোথা কবে ? "
এ প্রাচীন সত্য, তবু দিন কাটে তোমার ,  প্রগলভ আস্ফালনে; _
তোমার অন্তর্জালে নেই এতটুকু মায়া;
শান্তির জলে নিমজ্জিত ,তবু নেই শান্তির ছায়া ।
তোমার স্বার্থে,  তোমার মন্ত্রে, দীক্ষিত তোমরা ;
চুষে নিতে পারো,  ফুলের মধু শুধু  , ছলে বলে কৌশলে,
তোমরা যে ভোমরা ।


বাবুল আচার্যী  30/05/2016