ওগো মা কাত্যায়নী, অসুরসংহারকারিণী ,
ওগো মা সকল শান্তি,  সুখপ্রদায়িণী ।
আছে মা তোমার অসংখ্য ভক্ত অনুগামী ;
সাথে আছে কিছু মঙ্গলের দ্বার  রক্ষক ,
উল্টো মনোদশায় ভুক্তভোগী , ওরা শান্তির ভক্ষক ।
বিদায়ের বেলা দিয়েছিলে যত শান্তির জল,
শান্তি পায়নি ওরা, হ্রদয় ওদের যে বেতফল।
এক ঝাপটা ' অসহিষ্ণুতার' বাতাস লেগেছে ওদের গায়ে,
অসহিষ্ণুতার  আঁচে উত্তপ্ত  শির থেকে পায়ে  ।
উত্তাল উত্তাপে তাই  রাজপথ,  দেশের সংসদ,
ঝলসে পুরে গেছে ওদের চামড়া,
তাই চায়ের পাটিতেও বসিয়েছে ,অসহিষ্ণুতার মসনদ ।
রক্তচাপ কমাতে ,উন্মুক্ত মাঠে ছুটে গেছি,
নিয়েছি গভীর নিশ্বাস,  শান্ত শীতল হাওয়া ,
সেথায় নেই কোথাও অসহিষ্ণুতার বাতাস , নেই কোন ধাওয়া ।


উত্তর পেতে মরিয়া, চিৎ হয়ে মাঠে শুয়ে পড়েছি ।
অজান্তেই পার হয়েছি বায়োস্ফিয়ার, হিমোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার , একযোস্ফিয়ার ।
দেখেছি প্রশান্ত নীলাম্বর হেসে খেলে মেতেছে ;
পানকৌড়ি শ্বেত মেঘের ভেলাগুলো  কখনো ভাসছে, কখনো ডুবছে ।
মাঝেমধ্যে কালোমেঘের কুণ্জগুলো সুন্দর নীলাভ গগন কে কলঙ্কিত করেছে ।


সুধালাম , কালো মেঘেরা কি তোমার ' অসহিষ্ণুতার ' কারণ ?
একগাল হেসে বলল, ' ওরা আমার অলঙ্কার ।
ওরা না থাকলে আমি কিভাবে পয়োধর হতাম ?


তোমায় কিভাবে বারি বর্ষন করতাম ?
কিভাবে তোমার সুন্দর সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা
ধরণীর বরণীয় হতাম ।
কালোমেঘের রেখা আমার নয়নের অঞ্জন ।
সেই আঁখিজলে করি ধরণীর মাটি সিঞ্চন ।
তাই ভালোবাসো মোরে হ্র্দয়ের টানে,
দিয়েছো কত কবিতার উপহার ।
হঠাৎই চেতনার জগতে ফিরে এলাম ।
বইছে ঠাণ্ডা,  প্রাণসুধারসে ভরপুর শীতল হাওয়া,
নেই কোথাও অসহিষ্ণুতার বাতাস,  নেই তার ধাওয়া ।
সব কিছু আগের মতই চলছে ও চলবে ।
অসহিষ্ণুতার অনুচর , তুমি স্বার্থপর;
স্বার্থের মন্ত্রে দীক্ষিত , কর স্বার্থের জয়গান ;
চরিতার্থ করতে নিজের একান্ত অভিলাষা ,
দাও জনগনের বলিদান ।


বাবুল আচার্যী  10/06/2016