সুখ দুঃখ ব্যধি জরাগ্রস্ত ধরণীর কোলে ...
তোমরাই ত ছিলে অখিলের গগন তলে ;
গগন তো ছিল অনেক দূরে,সুদূরে মিলেমিশে মিছিলে,
সে শুধু স্বত্বটুকু দিয়েছিল তোমাদের  অন্তরের অন্তরে ।  
তাই,নীলিমার নীলা নেমে এসেছিল  জীবনের গভীরে ;
উল্লাসে র দিনেও মেঘ ডেকে মনে জল ঝরায় অঝরে ।
যে বাগিচা ছিল পত্র-পল্লব-পুষ্পে রঞ্জিত ,
আনন্দ সঘন মন বনে তব আছে  সঞ্চিত ।
যুথী বেলি গন্ধরাজ ফুল ফুটেছিল ওরে ;
সে সব অঙ্কুরোদ্গম হয়েছিল মনের ঘরে  ।
কাছে আস নাই তবু,
গেয়েছিলে গান,ভরেছিলে মনপ্রাণ ;
মৃত সঞ্জীবণী সুধার আদান প্রদান ।
তোমার দেহের স্রোত প্রবাহিত শোনিতে,
অঙ্গে-অঙ্গে ওঠা শব্দ-তরঙ্গিণী র নদীতে ;
ভাব ভালোবাসা কৃষ্ণকালার ভঙ্গিতে ;
নৃত্য কলা রাগ বিরাগের মধুর সঙ্গীতে ;
তোমরাই তো রঙ বেরঙের তুলিতে এঁকেছিলে...আমায়
ভুলে গেলে,লাল নীল সবুজের রঙ মেখেছিলে ,
তোমাদের কথার মালারা বেদীতে সেজে ছিল
অর্ঘ্য রূপে পুজোর ফুলে সুগন্ধি ছিটিয়ে ছিল ,
মনোহরা পুষ্পবনে গন্ধরাজে মন মাতিয়ে ছিল,
আমন্ত্রণ পেয়ে মধুকর মধুকোষে মধু ঢেলে ছিল,
সেই মধু ঠোঁটে মুখে লেগে হিয়ায় পরশ করেছিল,
হিয়া থেকে শব্দরা নির্গত হয়ে কত শ্রুতিমধুর হয়েছিল ,
এক একটি অক্ষর জুড়ে গিয়ে শব্দরা প্লাবিত করেছিল ।
তন-মন-ধন সকল স্বপনে আমার উপচে পড়েছিলে উপকূলে,
জীবন ছন্দে ছন্দে পরমানন্দে  ফিরেছে তোমাদেরি জনকূলে ।


বাবুল আচার্যী   08/07/2016