যারা চলে গেছে তারা আসবে না আর ফিরে ;
রেখে গেছে বট অশ্বত্থের মূল যুগান্তরের তরে ।
আঁকড়ে আছে ধরা ,শত রাজি মূলের সমাহার ;
শতাব্দী অস্ত, তবু তাদেরি বাহারে চলছে বিহার ।
সবুজের শাখাগুলো আজো পত্রপল্লবে রঞ্জিত ;
ডালে ডালে কাব্য গাঁথায় সুশোভিত ও সজ্জিত।
অনন্ত গগন মাঝে আছে আজানা এক মহাদেশ ;
সেখানে আসে না দিবানিশি হয় না প্রাণের শেষ ।
সেখানে কূষ্ণকলি মেয়ের হরিণের মত দুটি চোখ ,
কত কিছু বলে , লুটোপুটি খায় স্বর্গীয় কত লোক ।
তা দেখে দেখে কবিগুরু এখনো যে লেখনী ধরে ;
লিখছে কথা গাইছে গাঁথা ভব সাগরের ওপারে ।
এ কেমন সাগর, বুকে ওঠে ছিল অগুনতি ঢেউ ;
আজ ওঠে যাহা কাল মিলায়ে যায় দেখেনি কেউ ।
এক একটি ঢেউ ছিল মহাকাব্য গাঁথার উচ্ছাস;
দিতে আর নিতে পরাণের আয়ুষ্কাল হবে নির্যাস ।
অগাধ গভীর জল রাশি বিন্দু বিন্দু ফোটায় হাসি;
মনে আনে সবার তৃপ্তি সুধা হৃদয় যায় জলে ভাসি ।
মেঘের কোলে ওদের রোদনে যখন বারিধারা নামে  ;
পথের মোড়ে খোলা মুর্তি ভেজে অশ্রু র বানে বানে  ।


বাবুল আচার্যী   24/07/2016