অবদমন মন ভবঘুরে, .কত পাথুরে _
পথে প্রান্তরে খুঁজবে শীতল জলাশয় ?
হৃদয় নিদাঘে আমার বড়ো কাতরায় !
বাতাসের দগ্ধ দহনে স্বপনেরা পুড়ে ফুলকি ছড়ায়,
মিলে যেতে চায় আকাশেরি কোন নীল আঙিনায় ।
না পাওয়ার বেদনাতে, আজ সবাই যেন বড়ো অসহায়,
দিন হল ঝড়া পাতা, ধরা বলে,'কাছে আয়, কাছে আয় ' ।
কাঁচের শার্সির গায়ে কত মিহি ক্ষত চিহ্ন,
অবহেলায় আছে পড়ে,বুকে করে বিদীর্ণ ।
লোক আসে সমাবেশে, গান গায় কত আবেশে,
চলে যায় যে, সে কি আর আসে ফিরে সকাশে ?
বুকের নীল রক্ত মিশে যায় লোহিত নদীর মোহনায় ।
অশ্রু তুমি কোন কুলের গৃহবধূ, সুখ দুঃখের ধরায় ?
ব্যাথা একটি রেখা মাত্র, কত নিহিত সমষ্টির বিন্দু,
সবার চোখে সরল হলেও, ব্যাথার তুমি মহাসিন্ধু ।


জীবন এক অনন্ত সঙ্গম এটুকু জানি,
সুরাসুরে দলাদলি হয়, তাও যে মানি ।
আঁধার শেষেই আসে ভোরের লালিত্য,দিবার বাহার,
সমুদ্র মন্থনে উঠতে পারে, মিষ্টি মধুর রসাল ভাণ্ডার ।
পুরু মলিন আস্তরণে ডুবে থাকা পাতা গুলো সজীব হতে চায়,
বৃষ্টির আগমনী সুরে হয় চঞ্চল, নাড়া দেয় তাই কোমল ডগায় ।
বর্ষনে কর্ষণ করে ধূলিমাখা জীবন,
চাঁদের আলোয় হোক আমার মরন ।


কোথায় আছে লুকিয়ে নিভৃতে হৃদয় - কুঞ্জ গহনে নিরাময়,
ধরাতলে কোথায় পাবো কুহু - কূজন-প্রিয়ার সহজিয়া গান,
ভোরের আলোর আদর সোহাগে মাতাবে ভৈরবী সুর প্রাণ ।
তৃষিত নীলকণ্ঠ পাখীর বুকে ও চোখে ওষ্ঠাগত পিপাসা,
সে যায় উড়ে, দিগ দিগন্ত জুড়ে, মিটবে কি তার দুরাশা?