এ সকল গেহের সকল মনের একটা কথা  সত্য,
আমায় দেখে তোমার মুখ হয় বাংলা পাঁচের মত।
বাংলা পাঁচটা দেখতে যেমন ,
নাকটা সিঁটকে হয় যে তেমন;
ভেংচি করা মুখটা তোমার ভাঙে মনের ছন্দ ;
নিজের হাতে গড়লে যারে তাকে নিয়েই দ্বন্দ্ব ?


নাকে তোমার রুমাল গুঁজে চোখটা করো বন্ধ ,
কুড়ার পাহাড় পঁচে গেলে নাকে আসবেই গন্ধ।
একটু করে জঞ্জাল ফেলে,
সকাল দুপুর রাত বিকেলে,
উঁচু নিচু পাহাড় সম ঢিপি তোমার হাতেই গড়া;
নাক সিঁটকিয়ে ভুরু কুঁচকে যায় না সাফ করা ।


আমার জীবন ছন্নছাড়া নেই যে বসত বাটি,
পথের ধারেই পড়ে থাকি কামড় দিয়ে মাটি ।
পায়ের গুঁতোয় লাগলে পরে ,
তোমার বিবেক যায়যে মরে ;
কিড়মিড়িয়ে দাও যে লাথি লাগিয়ে দাঁতের পাটি ;
আমটা খেয়ে উড়িয়ে ফেলো চোষা আমের আঁটি ।


নগ্নরূপে চেয়ে থাকি সকল গলির পথের মোড়ে ,
কুড়িয়ে আমায় দে না ফেলে ডাস্টবিনের ক্রোড়ে।
ধবল হবে কালো বরণ মেঘ ,
চোখের তারায় আসবে বেগ ;
তোমার হাতেই  নিখিল ধরা ,তোমার হাতেই সরা,
সরা দিয়েই সাজবে সবুজ স্বপন রঙ মহল-পাড়া।
ভোরের বেলায় মধুর বায় ,
লাগবে মনের শীতল গায়,
জাগবে ভুবন সকল প্রাতে বইবে প্রাণে অমল বায়;
পরিমলে ভাসবে বাতাস ফিরবে পাখি সূজন গাঁয় ।


বাবুল আচার্যী   10/01/2017